খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের জনৈক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করতে চাইছেন ওই এলাকার মাধবপুর গ্রামের জনৈক ইয়াদুল ইসলাম খান( বিএ খান)। ওই বিএ খান মাধবপুর গ্রামের মৃত সুলতান খানের পুত্র।
সংশ্লিষ্ট ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার আবালগাতী মৌজার ৩ একর ৩২ শতাংশ জমি যার খতিয়ান নং- ৬২ ও দাগ নং- ৯১। ওই সম্পত্তির পৈত্রিক সূত্রে মালিক ওই এলাকার মৃত মতিলাল বিশ্বাসের পুত্র দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি ওই ৩ একর ৩২ শতাংশ জমির মালিকানা সূত্রে ভোগদখল রেখে মৎস চাষসহ কৃষি জাত পন্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। ওই সম্পত্তি জোর জবরদখল করে ওই জায়গায় বালি ভরাট করে ঘর তৈরি করে দখলের চেষ্টা করছিল দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৃত সুলতান খানের পুত্র ইয়াদুল ইসলাম (বি এ খান)। ভুক্তভোগী দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারোস্ত হয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে তিনি দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি দখলকারীকে ওই জমিতে বালি ভরাট বন্ধসহ সকল প্রকার কর্মকা- বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে আবারো পর্দার আড়ালে থাকা প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় বালিভরাটের কাজ শুরু করে। সংখ্যালঘুদের জমি দখলের চেষ্টার সংবাদ পেয়ে দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশসহ রাজনৈতিক নেতারা ঘটনস্থলে উপস্থিত হলে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ইয়াদুল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সরেজমিনে গিয়ে উপস্থিত এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই ইয়াদুল এলাকার একজন প্রভাবশালী ভূমিদস্যু। তার বিরুদ্ধে কেউ টু-শব্দ করার সাহস পায় না। জবর দখল, বালি ভরাট, টিনের দোচালার একটি ঘর তোলার সত্যতা পাওয়া যায়। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। ভূমিদস্যু ইয়াদুলের হাত থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভুমি উদ্ধার করাসহ ওই অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সংশ্লিষ্ট সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। এ ব্যাপারে ওই ভুমি দস্যু বলে খ্যাত ইয়াদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।