আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের আশঙ্কা করছেন দলের নেতৃবৃন্দরা। তাই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর পাশাপাশি তার ছোট ভাইয়ের নামেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মুফতী সেয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের পাশাপাশি তার ছোট ভাই মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। শনিবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, সৈয়দ এছহাকের পক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরমটি সংগ্রহ করা হয়েছে। মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর কমিটির সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা জাকারিয়া হামিদী জানান, দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশন থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সেইসঙ্গে তার ভাই মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়েরের নামেও নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এখানে কোনো বিবাদ নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা স্বাভাবিক বিষয়। আপনারা অবগত আছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থীতা বাছাইতে গিয়ে বাতিল হয়েছে, তার মায়েরটা বৈধতা পেয়েছে। বরিশালেও এ ধরনের ঘটনার ঘটতে পারে। কারণ অসম্ভবকেও যে সম্ভব করা হয়। তাই নির্বাচনী কৌশল হিসেবে মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি তার ছোট ভাইয়ের নামেও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে আগামী ৮ মে বরিশাল নগরীতে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে দলের মনোনয়ন পাওয়া মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে। এ ব্যাপারে জাকারিয়া হামিদী বলেন, প্রার্থী বর্তমানে পূর্ব নির্ধারিত কিছু অনুষ্ঠানে ঢাকায় রয়েছেন। আগামী ৮ মে বিকেলে নগরীর গড়িয়ারপাড় থেকে দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা প্রার্থীকে নিয়ে নগরীতে আসবেন। এ সময় প্রার্থী নগরবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
তবে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন বরিশাল নগরীতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন দিয়ে নিজেদের অবস্থার জানান দেবেন। পাশাপাশি প্রার্থীকে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে বরণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।