দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চলছে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা ও মাড়াই। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি রোরো মৌসমে উপজেলায় ৫ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। বোরো ধান চাষীরা এবার তাদের জমিতে ব্রি-ধান ২৮, ২৯, ৫৮,৬৩,৬৭,৮১,৮৯,৯২ সহ বিভিন্ন জাতের বোরো ধান চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে আগাম জাতের বোরো ধান-২৮,৬৩, বগুড়া কাঠারী সহ ধান কাটতে ও ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পারকরছেন কৃষক-কৃষানীরা। গতকাল ডহচী গ্রামের কৃষক আবদুর রশিদ জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-২৮ চাষ করেছেন। চাষ আবাদ থেকে শুরু করে ধান তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তিনি ধান পেয়েছেন ১০৫ মন। রোববার জয়নন্দ হাটে তিনি ধান বিক্রি করেছেন প্রতি মন ১ হাজার ৫০ টাকা। তিনি আরও বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে কিন্তু ধারে দাম বাড়ে নাই। উপজেলার কাজি কাঠনা গ্রামের কৃষক মাহাতাব আলী বলেন, বাজারে ধানের দাম কম, শ্রমিক সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেশী হওয়ায় উৎপাদন খরচ করে লাভ হচ্ছে না বোরো ধানে। কৃষক আবদুর রহিম জানান, বর্তমানে বাজারে নতুন ধানের দাম কম থাকায় এবার বোরোতে লাভ কম হচ্ছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ বলেন, এখন বোরো ধানে ভরা মৌসুম তাই বাজার ধানের দাম একটু কম। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি আবহাওয়া ভাল থাকায় কৃষকদের ধান শুকিয়ে রাখার জন্য বলা হচ্ছে।