শস্য ভান্ডার খ্যাত সিংড়ার চলনবিল থেকে এক রাতে ৯ কৃষকের পাঁচটি (৪৫ কেভি) ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটছে। রোববার রাতে উপজেলার চৌগ্রামের ছাতারবাড়িয়া বিলে এই চুরির ঘটনা ঘটে। আর এনিয়ে গত ১৫ দিনে ২১টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। বিলের সেচ ট্রান্সফরমার চুরি রোধে অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। সোমবার ছাতারবাড়িয়া বিলে গিয়ে দেখা যায়, চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের পরিত্যাক্ত কভার বাঁশে ঝুলিয়ে কাঁদে নিয়ে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
দমদমা গ্রামের কৃষক শাজাহান আলী বলেন, আজ বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ট্রান্সফরমার নামানোর কথা ছিল। কিন্তু আগের রাতেই তার ৫ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি গেছে। এখন পরিত্যাক্ত ট্রান্সফরমারের কভার বহন করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। আর সেখানে আরো ৮ জন কৃষকের আরো চারটি (৪০ কেভি) ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে বিলের সাধারণ কৃষকের মাঝে চুরি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
চৌগ্রামের কৃষক হাফিজুল ও আল আমিন বলেন, ২৫ কেভির একটি ট্রান্সফরমার থেকে তারা ৫ জন কৃষক সেচ কার্য পরিচালনা করেন। কিন্তু সেটি গত রাতে চুরি যাওয়ায় সামনে আমন ধানে সেচ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন তারা। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আহসান হাবীব বলেন, গত রাতে চৌগ্রামের ছাতারবাড়িয়া বিল থেকে ৯ জন গ্রাহকের তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে মোট ৪৫ কেভি পাঁচটি ট্রান্সফরমার চুরির খবর পেয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন গ্রাহক গতকাল তাদের ট্রান্সফরমার নামানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। আজ সেগুলো নামানোর কথা ছিল। বিষয় প্রশাসকে জানানো হয়েছে। চুরি রোধে কৃষককে সচেতন করার পাশাপাশি সেচ শেষ হওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সফরমার নামানোর ব্যবস্থা করছেন।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়ার বিষয়টি গত আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছিল। তারপরে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে চলনবিলের ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সকল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকের সহযোগিতা ছাড়া চুরি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।