আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য অসুস্থ রবিউল ইসলাম প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়ে হয়রানীর শিকার হয়ে নাজেহাল হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের কাছে প্রতিকারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
বুধহাটা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নওয়াপাড়া গ্রামের দ্বিতীয় বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম প্যারালাইজড হয়ে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর অনেকটা ভাল হয়ে উঠেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ বারবার তাকে হয়রানীমূলক মামলায় জড়িয়ে ও নান অপপ্রচারের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা ও সম্মানহানি ঘটিয়ে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলছেন ভলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। তারা জানান, মেম্বার রবিউলসহ ৩ ভাই নওয়াপাড়া মৌজায় ২৯/১২/০৯ তাং ৪৪০৮ নং রেজিঃ দলিলে গৌতম দেবনাথের নিকট থেকে ৬৬ শতক জমি ক্রয় করে মিউটিশান, খাজনাদি পরিশোধ ও রেকর্ড করে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছেন। এ ছাড়া শ্বেতপুর মৌজায় রেজিঃ আমমুক্তারনামার মাধ্যমে সাড়ে ৭ বিঘা জমি ক্রয় করেন। জমি ভিপি তালিকাভুক্ত হলে দিপক সরকার ডিসআর নিয়ে ভোগদখলে যান। এর বিরুদ্ধে গৌতম দেবনাথ দিং বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালতে মামলা (নং ৪৫/১২) করেন। যা বিচারাধীন রয়েছে। এই বিরোধকে পুজি করে দিপক সরকার মেম্বার রবিউল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামি করে সিনিঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-০৮ এ সিআর ১০৯/২২ নং মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআই এর উপর তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে গত ৮/৮/২২ তাং ১নং আসামি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত-- কলে প্রতিবেদন প্রদান করা হয়। এরপর দিপক ৮/২/২৩ তাং রবিউলসহ ১০ জনকে আসামি করে সিআর ৬৬/২৩ নং মামলা করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রদান করেন। যাতে দেখা যায় মাছ মেরে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। বরং রবিউল ১০/১২ বছর ঐ জমিতে ভোগদখলে আছেন। এক বছর হারি নিয়ে শফিকুল দিং মাছ চাষ ও মাছ মেরে নিয়ে ধান চাষ করেছে। বাদী কোন চাষাবাদ ও দখলে না থাকায় অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়। তারপরও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরায় ১৪৫ ধারায় পি-৮৯৮/২৩ নং মামলা করা হয়েছে। কেবল মেম্বারদের বিরুদ্ধে নয় দিপক এলাকার অনেকের বিরুদ্ধে বহু মামলা করে এলাকায় মামলাবাজ হিসাবে পরিচয় লাভ করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। একের পর এক মিথ্যা মামলায় তার মান সম্মান হানি ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করায় মেম্বার রবিউল ইসলাম চরম ভাবে বিভ্রান্ত ও বিরক্তিকর পরিস্থির মুখে রয়েছেন।