পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরন না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মেম্বরের বিরুদ্ধে। প্রকৃত জেলেরা চাল না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৪ মে কেশবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু “জেলে কার্ড” থাকা সত্ত্বেও ৬৯ জন জেলেকে চাল দেয়নি ওই ওয়ার্ডের মেম্বর কাওসার সিকদার। এ ঘটনায় গত ৬ মে ভূক্তভোগী জেলেরা ইউএিনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তদন্ত করতে গেলে ঘটনার সত্যতা পেলেও গতকাল পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি। এদিকে চাল না পাওয়া ওই ৬৯ জন জেলেরা সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ইউএনও’র কাছে এসে আবারো অভিযোগ দেন। এ সময় অভিযুক্ত মেম্বরকে ডেকে এনে ঘটনা জানতে চাইলে মেম্বর কিছুটা অনিয়ম হয়েছে বলে স্বীকার করেন। হিসেব মতে ৬৯ জন জেলেদের প্রায় তিন টন চাউল বিতরণ করা হয়নি। ভূক্তভোগী জেলেরা জানান, “জেলে কার্ড” নিয়ে চাউল আনতে গেলে মেম্বর কাওছার সিকদার তাদের সাথে অসদাচারণ করেন এবং গায়ে হাতও দেন। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মুঠোফেনো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। দুই-এক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পেয়ে মেম্বর কাওছার সিকদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।