চট্টগ্রকমের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন মঙ্গলবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জলাধার / পুকুর ভরাটের দায়ে এক ব্যক্তিকে ১লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেছেন। উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল আলম জানান, বিভিন্ন সূত্রে উপজেলার ১৪নং শিকারপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে শরিফ আজম পিতা নাজিম উদ্দিন সাং দক্ষিণ কুয়াইশ নামে এক ব্যক্তি পরিবেশ আইন লংঘন করে জলাধার / পুকুর ভরাট করার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিএস ও আর এস রেকর্ড মতে স্হানটির শ্রেনী পুকুর সরোজমিন পরিদর্শন করে বাস্তবে পুকুর পাওয়া যায়।
অভিযান পরিচালনাকারী স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, পুকুরটি ভরাট করা লক্ষ্যে আনুমানিক ৩ মাস আগে পরিকল্পিতভাবে সেচ যন্ত্র দিয়ে শুকিয়ে ফেলা হয়। গত ৩/৪ দিন ধরে চলে ভরাট কার্যক্রম। বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং অভিযুক্তকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে, আগামী ১ মাসের মধ্যে পুকুরটি খনন করে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ বিষয়টি তদারকি করার জন্য শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল খালেককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
ইউ এন ও জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুর বা জলাধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ! এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পানির উৎস হিসেবে জলাধার সংরক্ষণ জরুরি। হাটহাজারীতে আইন অমান্য করে কেউ জলাশয় ভরাট করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সকলের সচেতনতা জরুরী বলে তিনি উল্লেখ করেন।