আলমগীর মোল্যা জাতীয় দলের ২৩ বছর বয়সী এক মিডফিল্ডার। ক্লাবের হয়ে গোল করা, ড্রিবলিং, গোলের সুযোগ তৈরি করা এবং কখনো কখনো খেলার মাঠে দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়ে ভক্তদের কাছে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় ফুটবলার হয়ে উঠেছেন কালীগঞ্জ কলেজ পাড়ার মিরাজুল হকের ছেলে আলমগীর মোল্ল্যা। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের কাছে এখনও তিনি শান্তশিষ্ট চেহারার সেই তরুন্। উপজেলা শহর থেকে উঠে এসে মুক্তিযোদ্ধা,মহামেডান,আবহনীতে নিয়মিত খেলোয়ার হিসাবে মাঠে ফুটবল নিয়ে নিজের পায়ের জাদু দেখাচ্ছেন! মাঠ মাতাচ্ছেন বাংলাদেশে জাতীয় টিমে।
মেধাবী ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী শৈশবে কালীগঞ্জের বিভিন্ন মাঠে খেলতেন। সেই সময়কার স্মৃতি আজও স্থানীয়দের মনে অমলিন। খেলোয়াড়ি দক্ষতার কথা ভুলতে পারেননি এলাকার মানুষ সহ অনুপ্রেরনাদানকারী শিক্ষকেরা। বড় পরিসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও ভোলেনি শৈশবের তিলে তিলে গড়ে তোলা সেই মানুষগুলোকে। তাইতো কথার ফাকে ফাকে কৃতজ্ঞচিত্রে স্মরন করেছে সেই গুনিজনদের।
কালীগঞ্জ ক্রিড়া ফেডারেশনের ম্যানেজার তপন কুমার বাটুল বলেন, পরিশ্রমী ও জেদি একটা ছেলে যে কারণে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছে। ও জাতীয় ফুটবল দলে ভাল করবে। ওর জন্য শুভ কামনা সব সময়।আলমগীর মোল্ল্যা মনে করেন,হার্ডওয়ারের বাইরে কিছু নাই। টেলেন্ড থাকলেও আপনাকে পরিশ্রম করে নিজেকে তৈরি করতে হবে। বাবা-মা ও বড় ভাই তার শক্তি ও সাহসের একমাত্র ভরসা। তারা না থাকলে হয়তো এ পর্যন্ত আসা সম্ভব হতো না। জন্মভূমি সহ সারা দেশবাসীর জন্য সুনাম ও কৃতিত্ব বহন করবে আলমগীর মোল্ল্যা এমনটি প্রত্যাশা করেন উপজেলাবাসী।