খুলনার পাইকগাছায় শত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে সীমানা ঘেরা ভাংচুর ও গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৮ মে মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক হারান চন্দ্র অধিকারী অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার চাঁদখালী বাজারে অবস্থিত চাঁদখালী সার্বজনীন পূজা মন্দিরটি শত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হিন্দু জনসাধারণের ব্যবহার্য্য দেবস্থান হিসাবে রেকর্ডে লিপিবদ্ধ। ওই মন্দিরের পাশে স্বত্ব দখলীয় জায়গায় একটি বাগান রয়েছে। বাগানের গাছ কালীদাশপুর গ্রামের মৃত শাহাজান সরদারের ছেলে মো. সোহেল সরদার (৪৫) ও মো. শাহীন সরদার (৪২) এবং চককাওয়ালী গ্রামের মো. লুৎফর রহমানের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৪২) গত ৫ মে জোর জবরানে কাটিয়া লয় এবং মন্দির সীমানার ঘেরা ভাংচুর করে। এ বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে সভাপতি সহ মন্দির কমিটির লোকজন প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হিন্দ ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত জনিত কটূক্তি করে। আরো বলে শালা মালায়ুন গাছ কেটেছি এবং ঘেরা ভেঙেছি তুই যা পারিস করে নিস। এখানে থেকে মন্দির ভেঙ্গে অন্যত্র নিয়ে যা। এখানে কোন ধমীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করলেও কোন প্রকার সুরাহা না করার কারণে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও হিন্দু ধর্মবলম্বীদের ধমীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘেœ পরিচালনা এবং মন্দিরের সীমানা ঘেরা দেওয়া সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা মো. আবু ইলিয়াস দেশের বাহিরে থাকায় মুঠোফোনে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই, উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্ঠা করবো।