ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজধানীতে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ডিএনসিসি প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। আতিকুল ইসলাম বলেন, ছুটি বাতিলসহ ডিএনসিসির যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে আছেন তাদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ঢাকার কোথাও যদি গাছ হেলে পড়ে বা ডালপালা ভেঙে যায় তা সঙ্গে সঙ্গে ডিএনসিসিকে জানানোর আহ্বান জানাই। ডিএনসিসি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক থেকে গাছ অপসারণ করবে। আর কোথাও যদি গাছ হেলে যায়, সেটি কীভাবে রক্ষা করা যায় সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এপ্রিলে ৪৩১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৭: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এফএনএস: সড়কে প্রতিদিনই ঝরছে প্রাণ। গত এপ্রিলে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ৪৯৭ এবং আহত হয়েছেন ৭৭৮ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৪৯ এবং শিশু ৮৮ জন। ১৯১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২০১ জন, যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ দশমিক ৯৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭১ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে পথচারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সারাদেশের স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করে। শনিবার (১৩ মে) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২০১ জন (৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ), বাসযাত্রী ১৪ জন (২ দশমিক ৮১ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপণ্ডট্রাক্টর-ট্রলি-লরি আরোহী ৩১ জন (৬ দশমিক ২৩ শতাংশ), প্রাইভেটকার আরোহী ৫ জন (১ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯৯ জন (১৯ দশমিক ৯১ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-চান্দের গাড়ি-মাহিন্দ্র-টমটমণ্ডলাটাহাম্বা) ১৮ জন (৩ দশমিক ৬২ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশা ভ্যান আরোহী ২০ জন (৪ দশমিক ০২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাসমূহের ৭১টি (১৬ দশমিক ৪৭%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৯৫টি (৪৫ দশমিক ২৪ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি (২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৩৫টি (৮ দশমিক ১২ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২১টি (৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য তিনজন, বিজিবি সদস্য তিনজন, আনসার সদস্য একজন, গ্রাম পুলিশ দুজন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক ৯ জন, দন্তচিকিৎসক একজন, পল্লী চিকিৎসক একজন, ডিপিডিসি কর্মকর্তা একজন, দুদকের কর্মকর্তা একজন, বন বিভাগের কর্মকর্তা একজন, তহশিলদার একজন, সাংবাদিক তিনজন, আইনজীবী দুজন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা পাঁচজন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১১ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী দুজন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৯ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২৮ জন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১৪ জন, পোশাক শ্রমিক সাতজন, কাঠমিস্ত্রি তিনজন, ইটভাঙা শ্রমিক চারজন এবং সারাদেশের স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।