রাজশাহীর দুর্গাপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী জামায়াত নেতার সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় পুকুর খনন করতে গিয়ে রাস্তায় রোপনকৃত সরকারী গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি দুর্গাপুর পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের সম্মূখ স্থানে। প্রশাসনের অনুমতি ব্যাতীত সরকারী গাছ কর্তনের অভিযোগ তদনÍ সাপেক্ষে প্রমানিত হলে অভিযুক্ত জামায়াত নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সরকারী নিশেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের সম্মূখস্থানে পুরাতন পুকুর সংস্কারের ফাঁকে ৩/৪ বিঘা ফসলী জমি কেটে পুকুর খনন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খাঁ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশ পানানগর ইউনিয়ন শাখার সাবেক সভাপতি ও দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাবেক সদস্য প্রভাবশালী নেতা কাঠালবাড়ীয়া শহীদ আবুল কাশেম স্কুল এ- কলেজের প্রভাষক মুহা. সেলিম রেজা খাঁন ছোটভাই জামায়াতকর্মী দুর্গাপুর ফাযিল মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক মহিদুল ইসলাম ও একই এলাকার মাসুম ও মো. মুক্তি’র বিরুদ্ধে।
খননকৃত পুকুরের মাটি রাস্তা দিয়ে পরিবহনের মাধ্যমে বিক্রি করেও চলেছে অসাধু এই চক্র। যানবাহনের মাটি পরিবহন করতে গিয়ে রাস্তায় মাটি পড়ে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পানানগর গ্রামের সচেতন মহল। খননকৃত পুকুর থেকে কাঁকড়া গাড়ীর মাধ্যমে মাটি বের করতে রাস্তার পাশের্^ সরকারের রোপনকৃত ফলজ ও বনজ গাছ গুলোতে প্রতিবন্দিকতার সৃষ্টি হওয়ায় পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খাঁ ও জামায়াত নেতা প্রভাষক মুহা. সেলিম রেজা খাঁন ছোটভাই জামায়াতকর্মী দুর্গাপুর ফাযিল মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক মহিদুল ইসলাম ও একই গ্রামের মৃত নূর মন্ডলের পুত্র মাসুম ও মির্জার পুত্র মো. মুক্তি গত ১৫ মে সোমবার রাতের আঁধারে ৪/৫টি গাছ কেঁটে পানানগর বাজারের চা বিক্রেতা হাসান আলীর কাছে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে পুকুর খননকারী ও গাছ কর্তনকারী প্রভাবশালী জামায়াতকর্মীদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মূর্খ খুলতে শাহস পাচ্ছেনা বলে জানান এলাকার সচেতন মহল।
ফসলী জমিতে পুকুর খনন বন্ধে ও প্রশাসনের অনুমতি ব্যাতীত প্রভাবখাটিয়ে সরকারী গাছ কেটে অন্যত্র বিক্রি করার অভিযোগ সরজমিনে গিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রমানিত হলে অসাধুচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন গ্রামবাসী। এ বিষয়ে পুকুর খননকারী মহিদুল ইসলামের সাথে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে তার ব্যবহৃত ০১৭৬৪-৭৬৫৯৫২ নম্বরের সেল ফোনে কথা বললে তিনি গাছ কেঁটে বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বিষয়টি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। তার সাথে ফোনালাপের ভয়েস রেকর্ড সংবাদকর্মীর কাছে সংরক্ষিত আছে। রাস্তার সরকারী গাছ ক্রেতা পানানগর বাজারের চা বিক্রেতা হাসান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পুকুর খননকারী মহিদুল এর কাছ থেকে গাছের খড়ি কিনেছি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) আবদুল ওয়াহেদ বলেন, রাস্তার সরকারী গাছ কর্তনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান।