পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সাধারণ মানুষ এনজিও ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে ঋণ গৃহিতারা রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একটি কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না করতেই পরবর্তী সপ্তাহের কিস্তি টাকা পরিশোধ করার জন্য তৎপর হতে হয়। ফলে ভুক্তভোগীরা সুদী মহাজনদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছেন। উপজেলার সরকারি ব্যাংকগুলো কৃষি ঋণ বিতরণের প্রচার-প্রচারণা চালালেও নানা জটিলতার কারণে কৃষকদের একটা বড় অংশ এ ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা এনজিও ঋনের উপর নির্ভর করে চাষাবাদ, ক্ষেত খামার ও ব্যবসা-বাণিজ্য করতে বাধ্য হচ্ছেন। এজন্য তাদের ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা হার সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে। এনজিওদের নিয়ম অনুযায়ী উৎপাদনের বা আয় থেকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করার বিধান থাকলেও ঋণগ্রহের পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে উপজেলার ছোট বিড়ালজুরি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন ও মাগুরা গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী জানান, আমরা ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাচ্ছিনা। কাউখালী উপজেলা অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার মামুন হাওলাদার জানান আমরা, নিয়মের ভেতরে থেকেই লোন দিচ্ছি। একজন কৃষক ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি লোন নিচ্ছে। কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজার জানান, কৃষকদের আমরা সহজ শর্তে কৃষি ঋণ দিতেছি।