গতকাল ১৭ এপ্রিল বুধবার ছিল সরাইলের গর্ব, বঙ্গভঙ্গবিরোধী এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরূষ বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ৫৮তম প্রয়াণদিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল সরাইল প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য এড. জিয়াউল হক মৃধা। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন-সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি জুলকার নাঈন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ কামরূজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, উদীচী সরাইল শাখার সম্পাদক সুমন পারভেজ, ন্যাপ নেতা আবদুল জব্বার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষক দেওয়ান রওশন আরা লাকি, সাংবাদিক মো. মুরাদ খান, মো. সামছুল আরেফিন, শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম ও দীপক কুমার দেবনাথ। প্রধান অতিথিসহ উল্লাসকর দত্তের সংগ্রামী জীবনের বর্ণনা দিয়ে বক্তারা বলেন, বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত সরাইলের গর্বের ধন। স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশদের বিরূদ্ধে লড়াই করে আত্মত্যাগের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন জীবনের চেয়ে দেশপ্রেম বড়। উল্লাসকর দত্তের মত বীর পুরূষদের কর্ম গুণে মৃত্যু নেই। বিশ্ববাসীর কাছে তারা মরে গিয়েও অমর হয়ে থাকবে চিরকাল। পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করতে উল্লাসকর দত্তের জীবন ও সংগ্রাম লালন করা সরাইলবাসীর দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্বটা অনেক সময় প্রেসক্লাব কাঁধে তুলে নিচ্ছে। সরাইলের ঐতিহাসিক সামাজিক সাংস্কৃতিক ও গুরূত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড নিয়ে কাজ করছে সরাইল প্রেসক্লাব। প্রেসক্লাব তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ করছেন সংবাদ কর্মীরা শুধু সংবাদের পেছনেই ছুটে না তারা দেশপ্রেমে মানুষকে উদ্ভুদ্ধও করে আসছেন। সরাইলের সকল অর্জন গুলোকে জাতীয় তথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য প্রেসক্লাব বারবার ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রেসক্লাবের সকল কর্মকাণ্ডে পাশে থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করার জন্য সরাইলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। প্রসঙ্গত: বিপ্লবী এই মহাপুরূষ ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মে ভারতের আসামে মৃত্যুবরণ করেন।