জামালপুরের উপর দিয়ে প্রচন্ড বেগে কালবৈশাখী বয়ে যাওয়া ঝড়ে সহস্রাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ চাপায় ও বজ্রপাত দুই জনরে মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় শতাধীক। ১৬ মে (মঙ্গলবার) রাতে এঘটনা ঘটে।
জানাযায়,ঝড়ের সময় মেলান্দহ উপজেলার আমবাড়িয়া বাজারে দোকানের উপর বটগাছ উপড়ে পড়ায় গাছ চাপা পড়ে যুবলীগ নেতা সুজন খান নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। নিহত সুজন স্থানীয় আমবাড়িয়া গ্রামের সোজা খানের পুত্র এবং দুরমুঠ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।এ সময় জামালপুর-মেলান্দহ-দেওয়ানগঞ্জ সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়ায় প্রায় দুইঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
অপর দিকে বুধবার সকাল ৮টার দিকে নূরুন্দি ইউনিয়নের বিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলামের ছেলে মো.ওসমান গণি(২৫)বাড়ির পাশে তার ক্ষেতে ধান কাটতে যায়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নান্দিনায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যেই তার মৃত্যু হয়। দুই সন্তানের জনক ওসমান গনির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কালবৈশাখীর তান্ডবে ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলার সহস্রাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও বহু গাছপালা উপড়ে গেছে। এ সময় ঘর ও গাছ চাপা পড়ে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
বিশেষ করে ইসলামপুরে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন একটি পৌর শহরের বিভিন্ন কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গাছপালাসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রুমান জানান বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করেছি। বাড়িঘর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।