মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের পুর্ব বেলাগাঁও গ্রামের মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র রাস্তায় চার যুগ পর উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। নদীর পাড়ের ৮শ ফুট রাস্তায় ইট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সরকারের এডিবি প্রকল্পের আওতায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থ ছারের পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাস্তায় ইট বসানোর কাজ শুরু করেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেয করেন। কন্টিনালা ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে হাকালুকি হাওর পর্যন্ত রাস্তাটি ৩ কিলোমিটার। ২০২২ অর্থ বছরে কন্টিনালা ব্রিজ হতে অদু মিয়ার দোকান পর্যন্ত ১৫শ ফুট রাস্তায় ইট বসানোর জন্য মৌলভীবাজার জেল পরিষদ থেকে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। শুক্রবার (১৯মে) সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে, বেলাগাঁও গ্রামের আবদুল গনি সরদার, সাবেক ইউপি সদস্য আবু তাহের, মো,জমির উদ্দিন, বেলাগাঁও কন্টিনালা যুব ও সমাজ কল্যাণ পরিষদ সভাপতি জাহিদ হাসান জমিরসহ গ্রামবাসী জানান, জুড়ী উপজেলা সদর থেকে এক হাজজার গজের মধ্যে ৫নং ওয়ার্ডের পুর্ব বেলাগাঁও গ্রামের হাওরাঞ্চলের বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে অবহেলায় পড়ে আছে। প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাতায়াতকারী কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীকে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান কাদায় মাড়িয়ে চলতে হয়। গ্রামের গুরুত্বপুর্ণ একমাত্র রাস্তাটি এখন ব্যবহারের অনুপযাগেী হয়ে পড়েছে।দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় বর্তমানে এ রাস্তার বেহাল দশা। এছাড়াও রাস্তাটি উঁচু না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার উপর হয়ে যায় কোমর সমান পানি। ৪ যুগেরও বেশি সময় ধরে এলাকাবাসী সংষ্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও এখনো হয়নি কাঙ্খিত সংস্কার কাজ। এভাবে বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও রাস্তাটির বিষয়ে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী। দুই ধাপে রাস্তার মাএ ২২শ ফুট ইট সলিং হয়েছে। রাস্তার কাজে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, এই গ্রামের মানুষ ৫০ বছর ধরে অবহেলিত। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর জুড়ী উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক এবং সদর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজার সাথে আলাপ আলোচনা করে রাস্তাটি নির্মাণ করার দাবি জানান। দুই চেয়ারম্যানের একান্ত প্রচেষ্টায় রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সদর জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা বলেন, পুর্ব বেলাগাঁও গ্রামের নদীর পাড়ের রাস্তটি কন্টিনালা সেতু থেকে হাকালুকি হাওর পর্যন্ত বিস্তৃত। গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই ইট সলিং করা হচ্ছে। হাকালুকি হাওর পর্যন্ত রাস্তাটি নির্মানের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিয়ে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিবো। জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে কোন কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে। জননেএী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের রোল মডেল। ইতোমধ্যে দেশের অলিতে-গলিতে সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বেলাগাঁও গ্রামের মানুষ একটিমাত্র রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন থেকে কষ্ট করছেন। বর্ষা আসলেই এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলে পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। দুই ধাপে ১৪ লাখ টাকার মতো কাজ হয়েছে। দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ বাকি আছে। একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে যাতে একসাথে পুরো রাস্তার কাজ শেষ করা যায়।