জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাদিয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া ভূইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে গৃহবধূর স্বামী রায়হানকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা সুত্রে জানা যায়,নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার মাজালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। গত মাসের ২৭ তারিখে পৌরসভার কোনাবাড়ী এলাকায় আব্দুল্লার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রায়হানের সাথে বিয়ে হয় সাদিয়া আক্তারের। এসএসসি পরীক্ষা চলমান থাকায় বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ীতেই থাকতেন সাদিয়া। শুক্রবার বিকালে স্বামী রায়হান ও তার বাড়ির আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসেন সাদিয়ার বাড়িতে। আত্মীয় স্বজনরা রাতেই চলে গেলেও স্বামী থেকে যায়। রাতে স্বামী-স্ত্রীকে একঘরে থাকতে দিয়ে পরিবারের লোকজন অন্য ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। হটাৎ ভোর রাতে স্বামীর রায়হান ডাক চিৎকার করতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সাদিয়ার মরদেহ বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছেন স্বামী রায়হান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে স্বামী রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে মেয়ে ও জামাইকে হাসি মুখেই ঘরে রেখে আমরা ঘুমাতে যাই। ভোরে মেয়ের জামাইয়ের ডাক চিৎকারে ঘুম থেকে সজাগ যাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি ঘর থেকে বারান্দার পকেট রুমে মেয়ের লাশ জামাই বুকে ধরে কান্নাকাটি করছে। জামাইকে জিজ্ঞাস করলে বলে সাদিয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে অন্য ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, সাদিযা আক্তার নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে নিহত গৃহবধূর স্বামী রায়হান মিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।