তেঁতুলিয়া উপজেলার ফকিরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা অনিয়মের অভিযোগে স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার ২নং তিরনইহাট ইউনিয়নের অন্তর্গন্ত ফকিরপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরায় একজন করে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে প্রার্থি যাচাইয়ের পরিক্ষার দিনধার্য্য ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞাপনের পত্রিকা গোপন করায় শুধুমাত্র দুটি পদে নতুন করে ৬ জন আবেদন করে। এদিকে গত নভেম্বর/২০২০ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাতে দুটি পদে ৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেছিল। কিন্তু কোন কারণ বশত ওই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃত প্রার্থীদের পরীক্ষা তখন গ্রহণ করা হয়নি। এমনি পুনরায় নতুন নিয়োগি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও তাতেও পূর্বের প্রার্থীদের আবেদনপত্র বাতিল কথা লিখেনি। ফলে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র দুটি পদে ৬ জনের পরীক্ষা গ্রহণে ডাকা হল। এদিকে পূর্বের আবেদনকৃত প্রার্থীরা সহ এলাকাবাসী এই পরীক্ষা বন্দের দাবীতে মাদ্রাসায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ভুক্তভোগী জয়গুন আক্তার আয়া পদের একজন প্রার্থী ছিল। তার স্বামী আলতাফ হোসেন জানান ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের বিজ্ঞপ্তিতে স্ত্রী আবেদন করেছিল তাকেও পরীক্ষার কার্ড দেয়া হয়নি। বরং গত ১৯ মে/২০২৩ তারিখ সকালে সোলেমান আলী নামের একজন সদস্যের মাধ্যমে আবেদনে পে-অর্ডার টাকা ফেরৎ পাঠান। আমি টাকা গ্রহণ না করে অন্যান্য প্রার্থীদের সংগে নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ বিষয়ে মাদরার সুপার মোঃ জিয়াউল হকের সংগে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোনটি রিসিভ করেননি।
মাদরা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং তিরনইহাট ইউনিয়নে আওয়ামীগৈর সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার পত্রিকার বিজ্ঞাপন প্রকাশ সহ অন্যান্য প্রস্তুতি সব ঠিক ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে যারা আবেদন করেছিল তাদের অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষায় না ডাকায় সমস্যা সৃষ্টি হলে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি মাদ্রাসার কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছি এমনটি নয়। মূলত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটিকে নিযোগ পরীক্ষায় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সংগে নিতে বলেছি। কেন তারা পরীক্ষা স্থগিত করেছে তারাই ভাল বলতে পারবেন।