নবম শ্রেণীতে পড়-য়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার পূর্ব কেশবকাঠী গ্রামের। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক আলমগীর হোসেন (৫২) ওই গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ সিকদারের ছেলে এবং নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবার আপন মামাতো ভাই। গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে এজাহারের বরাত দিয়ে উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, ভিকটিমের ঘরের সামনেই আলমগীরের ঘর। এ সুবাদে প্রায়ই আলমগীরের ঘরে যাতায়াত করতো মাদ্রাসা ছাত্রী। গত ২২ মার্চ মাদ্রাসা ছাত্রীর মা গোসল করতে যায়। এসুযোগে আলমগীর ওই ছাত্রীর মুখ চেঁপে ধরে তার ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কারো কাছে জানালে ওই ছাত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। পরবর্তীতে কৌশলে আরো কয়েক বার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে লম্পট আলমগীর। এতে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরিবর্তন হলে বিষয়টি তার মা জানতে চাইলে কিশোরী ধর্ষণের পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর উপায়অন্তুর না পেয়ে শনিবার (২০ মে) রাতে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরিদর্শক আরও জানান, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ ও নির্যাতিতা ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে।