নোয়াখালীর সেনবাগে চলতি এসএসসির হিসাব বিজ্ঞান পরীক্ষায় একজনের পরীক্ষায় অন্যজনে হয়ে পক্সী পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাসিবুর রহমান সামি নামের এক ভুয়া পরীক্ষাথীকে আটক করে ১৫দিনে দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার। দন্ডপ্রাপ্ত হাসিবুর রহমান সেনবাগ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাদরা গ্রামের হাবিবুর রহমান হারুনের ছেলে ও দাগনভূঁঞায় ইকবাল মেমোরিয়াল একাডেমির একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। একই ঘটনায় মূল পরীক্ষাথী সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র শাহাপুর গ্রামের আনচার আলী পন্ডিত বাড়ির হাবিব উল্লাহ ছেলে আশ্রাফুল আলম তানভিরকে পরীক্ষা থেকে বহিস্কার ও আগামী দুই বছরের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার জানায়, দুপুরে সেনবাগ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে দ্বিতীয় তলার ৭নং কক্ষে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে প্রথম অংশ নৈবিক্তি পরীক্ষা শেষে দ্বিতীয় অংশ রচনামূলক পরীক্ষা চলাকালে কক্ষ পরিদর্শক অমল কান্দি পরীক্ষাথীর রেজিষ্টেশকার্ড ও প্রবেশপত্র দেখতে চাইলে সে প্রবেশপত্র বাড়িতে রেখে এসেছে বলে জানান। এ সময় কক্ষ পরিদর্শক তাকে চ্যালেন্স করলে একপর্যায়ে সে পরীক্ষার হল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে।
খবর পেয়ে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি কেন্দ্রে গিয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার বন্ধু আশ্রাফুর রহমান তানভিরের পক্ষ হয়ে পক্সী পরীক্ষা দিচ্ছে বলে স্বীকার করে। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণের জন্য সেনবাগ থানা পুলিশে নিকট সোপার্দ করে। এছাড়াও মূল পরীক্ষাথী আশ্রাফুল রহমান তানভিরকে পরীক্ষা থেকে বরখাস্ত ও আগামী দুই বছরের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বরখাস্ত করে।