গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য সভায় হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কর্মীরা। সোমবার বিকাল ৪টার পর থেকেই সরাইল সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলছে। বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে সরাইল পাবলিক লাইব্রেরিতে দেখা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নামের একটি ব্যানার ঝুলছে। তখনও ওই কক্ষে কোন নেতা কর্মী আসেননি। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। গত ১৯ মে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে মহানগর ও জেলা বিএনপি’র রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে’ বলে মন্ত্রব্য করেছেন আবু সাঈদ চাঁদ। এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিকাল ৪টার পর থেকেই সরাইল সদরে প্রতিবাদে মাঠে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের নেতৃত্বে ৪টার পরই বের হয় একটি বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মাহফুজ আলী, যুবলীগ নেতা রনি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফেজুল আসাদ সিজার। মিছিলটি সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক পথ সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য সভায় হুমকি দাতাকে দ্রƒত গ্রেপ্তার করে আইনের আনতে হবে। বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ-এর এমন হুমকি দেওয়ার পেছনে গভীর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে। আবু সাঈদকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ না করলে ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উৎঘাটন হবে না। হুমকি দাতা ও তার সাথে যাদের যোগসাজস রয়েছে অবিলম্বে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করূন। ওদিকে বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে দেখা গেছে তিন সদস্যের সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ লেখা একটি ব্যানার উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরীতে ঝুলছে। সেখানে কোন জনমানব নেই। খালি চেয়ার টেবিল আছে। নিচে ২/১ জন জানিয়েছেন সভা হতে পারে।