বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশের লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও অন্তত এক মাস সময় লাগবে। আজ সোমবার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় ভোলার সদ্যপ্রাপ্ত ইলিশা-১ কূপকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি জানান, নতুন এ কূপে মজুদ রয়েছে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, যা থেকে দিনে গড়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস তোলা যাবে। সেই হিসাবে ২৫ থেকে ২৬ বছর গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে। নসরুল হামিদ বলেন, এটি আনন্দের সংবাদ এবং সৌভাগ্যের। ইলিশা কূপ থেকে ২৬-৩০ বছর পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। এই কূপসহ ভোলাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ টিসিএফ গ্যাস মজুদের আশা করা হচ্ছে। গ্যাস পরিবহনকালে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভোলা-বরিশাল-খুলনা রুটে গ্যাস নেটওয়ার্ক তৈরি নিয়েও সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় গত ৯ মার্চ ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম খননের কাজ করে। বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এখনো জেলায় তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে নয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুরে ছয়টি, ভোলা নর্থে দুটি ও ইলিশায় একটি। এ পর্যন্ত মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১.৭ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট (টিসিএফ)। খুব শিগগির এ গ্যাস উত্তোলন করা হবে। সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের দিকে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের সম্ভাবতা যাচাই শেষে এ বছরের ৯ মার্চ ভোলার ইলিশা-১ কূপ খনন করে বাপেক্সে। এ সংস্থার তত্ত্বাবধানে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাসপ্রম এ খনন কাজ সম্পন্নের পর কূপটিতে তৃতীয় ধাফে ডিএসটি কার্যক্রম করা হয় এবং নিশ্চিত হয় গ্যাসের মজুদ। এদিকে একের পর পর গ্যাসে সন্ধান মেলায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে তারা। ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুর প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।