আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারকে অধিক স্বচ্ছল করার মাধ্যমে দারিদ্র সীমার উপরে উঠিয়ে আনা, পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, মানুষ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং পরিবেশ সচেতন ও মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে সমৃদ্ধ পরিবার কর্মসূচি উন্নততর জীবনের প্রত্যাশায় নির্বাচিতদের মাঝে উপকরণ ও চলতি মূলধন বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে যশোরের ঝিকরগাছা পেন ফাউন্ডেশন পরিচালিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বপ্নলোকের পাঠশালার ঝিকরগাছা পৌরসভাধীন মোবারকপুর ২য় ক্যাম্পাসে উপকরণ ও মূলধন বিতরণ করা হয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক (অব.) ও বেগম লায়লা নাজনীন হারুন ফাউন্ডেশন এবং পেন ফাউন্ডেশন আয়োজনে সমৃদ্ধ পরিবার কর্মসূচীর আওতায় সমৃদ্ধ পরিবার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচিতদের মধ্যে উপকরণ ও চলতি মূলধন বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ, (বীর প্রতীক অব.) চেয়ারপার্সন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ, (বীর প্রতীক অব.) ও বেগম লায়লা নাজনীন হারুন ফাউন্ডেশন, ঢাকা।
প্রধান অতিথি হারুন অর রশিদ বলেন, পেন ফাউন্ডেশন স্বপ্নলোকের পাঠশালা’র মাধ্যমে সমাজের কম সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে চলেছে। আমরাও আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার অংশীদার হয়ে গেলাম। উপস্থিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের লেখাপড়ার জন্য আপনারা মনোযোগী হবেন। আপনাদের পাশে পেন ফাউন্ডেশন আছে। আমরা আছি। প্রধান আলোচকের বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক। পেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশিষ্ট সাহিত্যিক মো. সফিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জনাব পেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা ইমদাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মো. এরশাদ-উর-রশিদ, সেক্রেটারী জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ, বীর প্রতীক (অব.) ও বেগম লায়লা নাজনীন হারুন ফাউন্ডেশন, মো. শাহীদুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক, সেলিমুজ্জামান, সহকারী উপপরিচালক আরব আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার, ঝিকরগাছা, যশোর সেনানিবাস ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও কলেজের সিনিয়র শিক্ষক লায়লা তামান্না আক্তার। বাঁকড়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. সামছুর রহমান এর সভাপতিত্বে। এ সময় মোট ০৭টি পরিবারকে ভ্যান গাড়ি ও মুদি ব্যবসার জন্য মূলধন প্রদান করা হয়।