নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম ও বই সংগ্রহ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দেখা দিয়েছে নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ। অনেক নেতা অভিযোগ করেন অতিতে চোর,ডাকাত,জামাত শিবির এবং চিহ্নিত বিএনপির নেতাকর্মীকে বানানো হয়েছে আওয়ামী লীগ। এরা দলের সুবিধা নিচ্ছে। দলের দুর্দিনে এরা কোথায় পালিয়ে যাবে তা বলা মুশকিল। তাই অন্তত পক্ষে এবার যেন দলীয় সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমত প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবার দলে আসে এ বিষয়টি সকলের মনে রাখতে হবে।
এ বিষয় নিয়ে ২৫ মে সৈয়দপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে রাতে এক বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষে দলীয় বর্ধিত সভায় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য ফরম বিতরণ করার দাবি জানান। আর অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দলের সকলকে দেখার অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন এর পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৈয়দপুরের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ ডা:জিকরুল হকের পরিবার এমনকি আমাকেও সেসময় সদস্য ফরম দেয়া হয় নাই।
তিনি দুঃখ করে বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৈয়দপুরের রাজনীতি এমন পর্যায়ে চলে এসেছে মাই ম্যান, এবং একনায়কতন্ত্র নিজস্ব গড়া মনোভাব দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করা হচ্ছে। তবে এ সুযোগ আর দেওয়া যাবে না। নিজের স্বার্থের জন্য দলটাকে ধ্বংস করতে আমি সাধারণ সম্পাদক হয়ে আর দিব না। আমি চাই প্রধানমন্ত্রীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যেভাবে ফরম, বই সংগ্রহ এবং নবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে ঠিক সেভাবেই করে যাব। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন ইতঃপূর্বে কুখ্যাত ডাকাত মোন্নাফকে আওয়ামী লীগের সদস্য করা হয়েছিল অর্থের বিনিময়ে। পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের পরিবার দেখে সদস্য ফরম সংগ্রহ করা হবে। ইউনিয়নে তৃণমূলের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। কারো মনগড়া কথায় চলতে পারেনা। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন বলেন দলের দুর্দিনে দীর্ঘদিন থেকেও সুদিনে কোন সুবিধা পাচ্ছেন না। ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অথচ আওয়ামী লীগের সদস্যরা আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে আমরা সাধারণত রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টে মাস্টারোল চাকরি করতে গেলেও কিছুদিন পর আমাদেরকে বাদ দেওয়া হয়। আপনারা অনেক সময় মাইমেন করে জামাত, বিএনপির লোক দের সহযোগিতা করে চলেছেন। সৈয়দপুর পৌরসভায় বিএনপি জামাতের লোকজনই বেশি মাস্টার রোলে চাকরি করছে। তাদেরকে চাকরি ব্যবসা ও আওয়ামী লীগে ঢুকিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবেন সেটা মেনে নেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখছেদুল মোমিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপ কমিটির মাধ্যমে কাজ করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে আমরা সকলের উপস্থিতিতে এক এক করে সদস্য ফরম ও বই সংগ্রহ করবো।