বিদেশ থেকে যে বিনিয়োগকারীরা আসছেন তাদের পড়তে হচ্ছে যানজট ভোগান্তিতে। বিমানবন্দরে এ ভোগান্তি যেন নিয়তি হয়ে গেছে। এই বিমানবন্দর এলাকায় আসলে কারোই যেন নিস্তার নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব সময়ই লেগে থাকে যানবাহনের জটলা। বিশেষ করে পার্কিং করা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য গাড়ির কারণে এই জটলা সৃষ্টি হয়। দেশি-বিদেশেী বিমান যাত্রীদের বিমান বন্দরে প্রবেশ করতে এবং বের হতে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকতে হচ্ছে। এই অব্যবস্থাপনার পার্কিং ও দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি চাই। যদিও জানা যায়,বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলমান। যাত্রীদের চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। কেননা দেখা যায়, বিমানবন্দর সড়কে এবং আশপাশে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ ঘন্টাই যানজট থাকে এতে বিদেশগামী যাত্রীদের গাড়ি করে বিমানবন্দরের মূল গেইট থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বিমানবন্দর এলাকায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। গাড়ি পাকিং অব্যবস্থাপনার কারণে দীর্ঘ সময় যানজট লেগে থাকলে মালামাল মাথায় নিয়ে যেতে হয় যাত্রীদের। পার্কিং সমস্যার কারণেই বিমানবন্দরসহ ঢাকা ও ভিবিন্ন জেলাগুলোয় যাতায়াতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জমজমাট গাড়ি পার্কিং বাণিজ্য। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো ফি আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে পার্কিংকারী গাড়ি ও চালকের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা ঘটছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের। এই পার্কিং বাণিজ্যের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের শক্তিশালী সিন্ডিকেটকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা। এখানে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসকে প্রথম তিন ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া একটু বিলম্ব হলেই ৪০ টাকা অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে। নিয়মের বাইরে এখানে প্রায় ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নিচ্ছেন ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। এই কার পার্কিংয়ের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অসদাচরণের অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে এয়ারপোর্ট কার রেন্টাল সার্ভিসের গাড়ি ভাড়া অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেন একাধিক প্রবাসী ও তাদের স্বজনেরা। এয়ারপোর্ট কার রেন্টাল সার্ভিসের গাড়ি নিতে গেলে গন্তব্য অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে দুই-তিন গুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের। অবহেলা আর অব্যবস্থাপনার কারণে দিনের পর দিন বাড়ছে এমন ভোগান্তি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানী বন্ধের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। তাই এসব ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা ব্যবহার ও নজরদারি বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান করছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানী বন্ধে সরকার ও প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হয়।