যশোরেরর মণিরামপুরে নেহালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসীলদার বিষ্ণুপদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আদালতের মামলা উপেক্ষা করে উৎকোচের বিনিময়ে নামজারির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ঘটনার এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী মামলার বাদী স্কুল শিক্ষক রেজাউল করিম তার মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে দিশেহার হয়ে পড়েছেন।
মামলার বাদী রেজাউল করিম তার আরজিতে দাবী করেছেন, মণিরামপুর উপজেলার ২৪১নং নেহালপুর মৌজার আরএস নং- ১৩৮৪ এবং ২১১৭ হালদাগে বাস্ত ১০ শতক জমির উপর নেহালপুর বাজারে দু’তলা একটি বিল্ডিং নির্মাণ রয়েছে। যে জমিটির রেকর্ড ও দখল তার অনুকূলে। কিন্তু অভিযোগ বাদীর সহদর আবদুল মজিদ নামে এক ভাই ওই বিল্ডিংয়ে অবস্থিত আড়াই শতক জমি শরীকনা দাবী করে তার ছেলে জাহিদ হাসানের নামে হেবা দলিল করিয়ে দেয়। তার কিছুদিন পর জাহিদ হোসেন গত ২০ ফেব্রুয়ারী অতিগোপনে বহিরাগত নেহালপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ আসাদুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির নিকট পুনরায় কবলা দলিল করে দেয়। যার দলিল নং- ১৭১০। ক্রেতা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য দলিলে ইজমেন্ট বিল্ডিং বিষয়টি উল্লেখ করে নাই।
নেহালপুর গ্রামের মৃত. ওয়াজেদ আলীর ছেলে স্কুল শিক্ষক রেজাউল করিম বিষয়টি জানতে পেরে গত ২০/০৩/২০২৩ ইং তারিখ আড়াই শতক জমির উপর বিজ্ঞ সহকারী জজ মণিরামপুর, যশোর আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করেন। যার মামলা নং- ১৪৮/২৩। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে একই গ্রামের মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ জাহিদ হাসান, মোঃ আবদুল মজিদ, মোঃ কামরুজ্জামান ও মোঃ রবিউল ইসলামকে।
এদিকে বাদী গত ২২/০৩/২০২৩ ইং তারিখ বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত থেকে ১০৭ নং সিরিয়ালের ইনফরমেশন সিলিপ উত্তোলন করে নেহালপুর ভূমি অফিসের তহসীলদার বিষ্ণুপদ বিশ্বাসের নিকট মামলার কপিসহ দাখিল করেন নামজারি না করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে মামলা উপেক্ষা করে তহসীলদার বিষ্ণুপদ গত ১৮/০৪/২০২৩ ইং তারিখ ৩৪১০ নং খতিয়ান মোতাবেক নালীশি জমিরি নামজারি করে দিয়েছেন। ফলে মামলার বাদী তার মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে উদ্বিগ্ন।