শেরপুরের নকলায় দৈনিক গণকণ্ঠ ও দ্যা ডেইলী স্ট্যাট পত্রিকার প্রতিনিধি, নকলা প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, নকলা ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি তরুণ ক্রীড়া সংগঠক মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ফারুক এবং নকলা ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ ক্রীড়া সংগঠক ক্রিকেটার মহিদুজ্জামান মিথুনের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরের দিকে নকলা প্রেসক্লাবের সামনে নকলা ক্রিকেট ক্লাব ও নকলা প্রেস ক্লাবের যৌথ আয়োজনে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের পাশে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলা ফুটবল ক্লাব, উপজেলা ভলিবল ক্লাব, উপজেলা ব্যাডমিন্টন ক্লাব, নকলা উপজেলার খেলোয়াড়বৃন্দ, উপজেলার সর্বস্তরের ক্রীড়ামোদী, নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থা, নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থা, নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা-নকলা উপজেলা শাখা, উপজেলা স্বেচ্ছাসবক লীগ, ভূরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপণ্য উদপাদক কল্যাণ সংস্থা, সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইন, নকলা উপজেলা শাখার আলোকিত বন্ধু ফোরাম, ব্লাড ব্যাংক অব নকলা, রক্তসৈনিক বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ ব্যানার ও প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এবং দাবির সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, নকলা ক্রিকেট ক্লাবের হুমায়ূন আহমেদ সুমন, নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. নূর হোসেন, উরফা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মো. মাসুম বেলাল মিন্টু, বিশিষ্ট ক্রিকেটার শাহাদত সজল, উপজেলার একমাত্র ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যাপীঠ পাঠশালা’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তৌহিদুল আলম রাসেল, নালিতাবাড়ী ডায়াবেটিকস হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাউছার আজাদ শুভ্র, শেরপুর পলিটেকনিক ইন্সটটিউটের ইনস্ট্রাক্টর (রসায়ন) মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, উপজেলা স্বেচ্ছাসবক লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সরকার বাবু, নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সৌরভসহ অনেকে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকদ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মোবাইলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই মানববন্ধনের সাথে একাত্বতা ও সফলতা কামানা করেছেন। তাছাড়া নকলা প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, নকলা ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ফারুক এবং নকলা ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ক্রিকেটার মহিদুজ্জামান মিথুনের উপর বর্বর হামলার তীব্রনিন্দা জ্ঞাপনসহ হামলাকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, কেউ কেউ চিহৃত মাদকাসক্ত ইভটিজার পলাশকে অজ্ঞাত কারণে পাগল আখ্যা দিয়ে অপরাধ করণে উৎসাহী করতেছেন। তাদেরকেও খোঁজে বের করা উচিত। তানাহলে উপজেলায় এমন সাজানো পাগলের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধের পরিমান ও অপরাধীর সংখ্য বেড়ে যাবে! যা কারো কাম্য নয়। তারা বলেন, যেখানে সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ মাদক ও ইভটিজিংকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেখানে একজন চিহৃত মাদকাসক্ত ও ইভটিজারকে কোন কারণে আইনের হাত থেকে রক্ষার পায়তারা করা হয়, তা কারো বোধগম্যনয়। তবে পুলিশ সকল কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে তাৎক্ষণিক অপরাধী পলাশকে আটক করায় বক্তারা নকলা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
বক্তারা আরো বলেন, এই চিহৃত মাদকাসক্ত পলাশ মিয়া কর্তৃক স্কুল-কলেজে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার অনেক ঘটনা রয়েছে। মাদকাসক্ত পলাশের ভয়ে শিক্ষার্থীরা তার বাসার পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় এমন অভিযোগ অগণিত অভিভাবকের। তবে মেয়েলি বিষয় হওয়ায় নিজেদের মান সম্মানের ভয়ে কোন অভিভাবক আজপর্যন্ত আইনের আশ্রয় নেয়নি। অজ্ঞাত কারণে এমন অপরাধীকে আইনের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে কেন এই চেষ্টা-তদবির? এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। এমন হেয় মনমানসিকতা সম্পন্ন লোক গুলোর হীন কৃতকর্মের ধিক্কার জানান বক্তারা। তারা আরো বলেন, চিহৃত অপরধীকে আজ যে বা যারা মনগড়া ভাবে পাগল আখ্যা দিয়ে আইনের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে অপচেস্টা করলেন বা করবেন; কাল-পড়শু যদি সে অন্যকাউকে প্রাণে মেরে ফেলে, এর দায় কে নিবে? তাছাড়া যে যুবক নিজেকে স্মার্ট হিসেবে পরিচিতি পেতে সুন্দর পোশাক পড়ার প্রয়োজনীয়তা বুঝে, নিয়মিত ক্লিন সেভ করতে জানে, সময় মতো খাবার খেতে হবে তা বুঝে, জানে দরকসাকসি করে কেনাকাটা করতেও; তাকে পাগল বলার কোন সুযোগ বা কারণ নেই। অতএব এই ইভটিজার মাদকাসক্তকে কৌশলে পাগল না সাজিয়ে বরং তাকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির মাধ্যমে সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও সবার অতঙ্ক দূরীকরনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জনপ্রতিনিধ ও সমাজের কর্তাব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। বক্তারা দৈনিক গণকণ্ঠ ও দ্যা ডেইলী স্ট্যাট পত্রিকার প্রতিনিধি, নকলা প্রেস ক্লাবের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক, নকলা ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি তরুণ ক্রীড়া সংগঠক মুহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ফারুক এবং নকলা ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ ক্রীড়া সংগঠক ক্রিকেটার মহিদুজ্জামান মিথুনের উপর বর্বর হামলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের দ্রুত চিহৃতকরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় জেলা-উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা, নকলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণির ক্রীড়ামোদী, পুলিশ বিভাগসহ অনান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।