চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকায় দেলিপাড়া গ্রামে চলাচলের পথ বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃদ্ধা শাশুড়ি নিজের ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার চতুর্থ ছেলে প্রবাসী সেলিমের ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। গত ৮/৯ মাস আগে তার পুত্রবধূ (সেলিমের স্ত্রী) মনোয়ারা বেগম গোপনে তার কাছ থেকে স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্ত ২ আনা সম্পত্তি কৌশলে নিয়ে নেবার পাঁয়তারা করেন। তিনি এ সম্পত্তি দিতে অস্বীকার করলে মনোয়ারা বেগম তার উপর নানান অত্যাচার শুরু করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ হোসেনের কাছে চলে আসেন। অন্য ছেলেরা তার কোন ভরন পোষণ দিচ্ছে না। একপর্যায়ে স্থানীয় মেম্বারের উপস্থিতিতে সম্পত্তির বন্টন নামা করার পর তিনি স্বামীর উপর ১.৩১ শতাংশ সম্পত্তির মালিক হন। পরে ছেলে হোসেন তার পাওয়া সম্পত্তি ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর একটি দালান নির্মাণের কাজ শুরু করলে পুত্রবধূ মনোয়ারা বেগম বাধা দেন। বাধ্য হয়ে পরবর্তীতে শাশুড়ি তার প্রাপ্ত সম্পত্তির উপর ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়ে ঘেরা-বেড়া দিলে পুত্রবধূ মনোয়ারা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন যে শাশুড়ি তার চলাচলের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ায় তিনি গত ৫ দিন যাবত শিশু পুত্রকে নিয়ে অবরুদ্ধ আছেন মর্মে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। আরফা খাতুন আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে মনোয়ারাসহ অন্য ছেলেদের চলাচলের জন্য ৫ ফুট রাস্তা খোলা আছে। কিন্তু মনোয়ারা তার জায়গার উপর দিয়েই চলাচলের পথ চাওয়াটা উদ্দেশ্যে প্রনোদিত। অপরদিকে চলাচলের পথ বন্ধ করে তার প্রবাসী ছেলের বউকে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখায় শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা সহ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।অপরদিকে তার প্রবাসী ছেলের বউয়ের থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাদের পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ করে রাখায় গত ৫/৬ দিন ধরে তিনি ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।