শাহীনুজ্জামান খান ফুলবাড়ীয়া থানায় যোগদানের পরেই পাল্টে যায় উপজেলার চিত্র। পুলিশ শাসক নয়, পুলিশ শোষক নয়, পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশের সকল সদস্য। তাই হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ন্যায়বিচারের মূলে পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং সততা। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের অন্যতম একটি বাহিনীর ভাবমূর্তি। একমাত্র এই বাহিনীকেই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হয়, পেশাদারিত্বের স্বার্থে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বা অকারণে লোভ-লালসা বশবর্তী হয়ে পড়েন কিছু সদস্য। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে সাহসী কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি শাহিনুজ্জামান খান। সকল শক্তি অপশক্তিকে অপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবলদের প্রতিশ্রতি পূরণে প্রেরণাদীপ্ত পরাঙ্গমতা প্রদর্শনের সফল হয়েছেন তিনি। ওসি শাহিনুজ্জামান খান ফুলবাড়িয়া থানায় গত ১৪-০৫-২০২৩ তারিখে যোগদানের পর থেকেই তার কাজের সাফল্যের ধারাবাহিকতা কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে ফুলবাড়িয়া ইতিহাসে। ০১-০৫-২০২৩ হইতে ৩১-০৫-২০২৩ পর্যন্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১টি, (সিআর) সাজা ৭টি, (জিআর) সাজা ৩টি, ওয়ারেন্ট তামিল সহ জিআর ও সিআর মামলার ৫৭জন ও দুইটি জুয়া খেলার স্পট পুড়িয়ে দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ১২জনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছে থানা পুলিশ। ফুলবাড়িয়া থানায় যোগদানের পর তিনি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন। ফুলবাড়িয়া থানার সকল এলাকার যুব সমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। ওসির শাহিনুজ্জামান খানের দূরদর্শিতার ফলে প্রায়ই উদ্ধার হচ্ছে মাদক। ২৯৮পিস ইয়াবা মাদক উদ্ধার এবং আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী, পাচারকারী এবং মাদকসেবী। ফুলবাড়িয়া থানায় গতমাসে ওসি হিসেবে যোগদান করেন শাহিনুজ্জামান খান। ফুলবাড়িয়া থানায় তার যোগদানের পর পাল্টে যেতে শুরু করে পুলিশের বেশ কিছু চিত্র, পরিবর্তন আসে সকল ক্ষেত্রে। তার দক্ষ তদারকিতে পেশাদারিত্ব আসে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মাঝেও।
পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ অপবাদ লাঘবে থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান এর বিচক্ষণতা অনেকাংশেই প্রশংসার দাবি রাখে। ওসি হিসেবে যোগদানের পর ইতিমধ্যেই সঠিক নিয়মের মধ্যে জনগণের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকায় তিনি চেষ্টা সম্পন্ন করেছেন। এ ছাড়া সাধারণ জনতার মাঝে দীর্ঘদিনের যে সংশয়, ভয় ছিল পুলিশ সহযোগিতার কাজে টাকা লাগবে এ সংশয়ও তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন চিরতরে। ওসি শাহিনুজ্জামান খান যোগদানের পর থানায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, কমে গেছে অকারণে জিডির প্রবণতা। সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে পুলিশের প্রতি। সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে এখন মানুষ। শাহিনুজ্জামান খান থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন জন তদারকি সহ অফিসারদের কাজে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। এতে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেকটাই মুক্তি মিলেছে। পুলিশের প্রতি নির্ভরশীলতার অভাবে অনেক মানুষেরাই ছোটখাটো কোনো বিষয় নিয়ে পুলিশের কাছে যেতে অনীহা ছিল। অনেকে নীরবে-নিভৃতে প্রভাবশালীদের ছোটখাটো জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। এতে অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়ে ছিল। এসব সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওসির শাহিনুজ্জামান খান তার অফিসকক্ষের বাহিরে নিয়মিত সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে থাকেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় অপরাধীদের উৎসাহে অনেকটাই ভাঁটা পড়েছে এখন। তার এ উদ্যোগ চলৎ থাকলে পুলিশের হারানো ভাবমূর্তি যেমন ফিরে আসবে, তেমনি মানুষের জীবনেও সুখের সুবাতাস বইবে। সবকিছু মিলিয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় যোগদানের পর থেকে ওসি শাহিনুজ্জামান খান সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ শোষক নয়, জনগণের বন্ধু।