নীলফামারীর মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কয়েকদিন থেকে পড়ছে প্রচন্ড গরম। পাশাপাশি তাপমাত্র বিরাজ করছে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। প্রখর রোদে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। সকালে শহরে কিছুটা লোক সমাগম থাকলেও দুপুরে শহর থাকছে ফাঁকা। ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়িদের শরীর পুড়ছে রোদে। সবার মধ্যে বিরাজ করছে একটা অশান্তি। হাসফাঁস অবস্থায় মানুষ অনেকটা দিশেহারা।
ভ্রাম্যমাণ আম ব্যবসায়ি আলম জানান,অতিরিক্ত গরম ও প্রচন্ড রোদে ব্যবসা করতে পারছি না। রোদে বসে কতক্ষণ থাকবো। শরীর কালো হয়ে গেছে। পেটের দায়ে তবুও থাকতে হচ্ছে।
লিচু ব্যবসায়ি আরিফুল জানান, প্রতি বছর তিনি লিচু ব্যবসা করেন। বিভিন্ন বাগান থেকে তিনি লিচু ক্রয় করে সৈয়দপুর শহরে হাতে কেটে বিক্রি করেন। এ বছর লিচুর দাম থাকলেও তিনি ব্যবসায় লোকসান গুনছেন। কারণ গরম ও রোদে ক্রেতা না থাকায় তার লিচু বিক্রি হচ্ছে না। পরদিন ওই লিচু পঁচে যাচ্ছে।
এদিকে দিনে রাতে চলছে বিদ্যুতের লীলাখেলা। কখন যায় আর কখন আসে তার কোন নির্দিষ্ঠ সময় নেই। বিদ্যুত বিভাগ থেকে কোন প্রচারও নেই যে কখন বিদ্যুত যাবে এবং আসবে। তাছাড়া বিদ্যুত বিভাগে লোকবল সংকট থাকায় বিদ্যুতের কোথাও ত্রুটি দেখা দিলে বিলম্বে পাওয়া যায় তাদেরকে। ওষ্ঠাগত গরমে নীলফামারীর মানুষ দিশেহারা।
প্রচন্ড রোদ,তালপাকা ভেপসা গরমের সাথে যোগ হয়েছে বাজার দর। সৈয়দপুর ও নীলফামারী বাজারে পেয়াজের কেজি উঠেছে একশ টাকা আলু,পটল,টমেটো,ঢেঁড়শ,শশা,করল্লা,রসুন,আদা,শাকসবজীর দামও কমেনি। আর মাছ মাংসের বাজারের যেন আগুন লেগেছে। অনেক সময় সোনায় দরদাম হয় কিন্তু বর্তমানে বাজারে গেলে সবজী ও মাছ মাংশে দরদাম হয় না। ব্যবসায়িরা যা চায় তাই দিয়ে কিনতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। এ বিষয়গুলো দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা তদারকি করেন না। ফলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই কোন উদ্যোগ। ফলে জনগনকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।