টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্মীপুরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এতোদিন ছিলো জ্যৈষ্ঠের আম পাকা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তাই বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন লক্ষ্মীপুরবাসী। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকালে অল্প অল্প বৃষ্টি শুরু হয় লক্ষ্মীপুরের কিছু এলাকায়।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহের পরে সকাল থেকেই গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। মানুষ অপেক্ষা করছিল কখন নামবে স্বস্তির বৃষ্টি। সব জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে সকাল ৯টার দিকে নেমে আসে দীর্ঘ প্রতীক্ষার বৃষ্টি। এতে খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে জেলার ৫ টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও। কাঙ্খিত বৃষ্টিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে সামান্য বৃষ্টিতে গরমের স্বস্তি পেয়েছেন বলছেন অনেকে।
লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে অসহনীয় গরমে মনে হয়েছিল জান বের হয়ে যাবে। এরকম গরম আগে কখনও অনুভূত হয়নি। আজকের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। একই পৌরসভার বাসিন্দা ৭ বছরের নাবিব রহমান ইয়ান বলেছেন, প্রচ- গরম ও লোডশেডিংয়ে তাদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। বাসায় তার ভালো লাগছে না।
গরমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় গরম বেশি পাচ্ছিলো সে। বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিতে জনজীবনে খানিকটা স্বস্তি আনবে। দ্রুত শিক্ষাজীবনে ফিরে সহপাটিদের সাথে দেখা হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছে সে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.মোঃ জাকির হোসেন বলেন,গত কয়েকদিনের গরমে কৃষি ও কৃষকদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। সকাল থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে আশা করছি, কৃষি ও কৃষকের জন্য এটি স্বস্তি ও শান্তির বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টি ফসলের জন্য ভালো ভূমিকা রাখবে।