পাবনার সুজানগরের চরাঞ্চলে এ বছর চিনাবাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে বাদামের বাজারও বেশ ভাল। এতে বাদাম চাষীরা ভীষণ খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ভায়না, সাতবাড়ীয়া, নাজিরগঞ্জ এবং সাগরকান্দী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩‘শ ৫০হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর বেশি জমিতে। ইতোমধ্যে আগাম আবাদ করা জমির বাদাম উঠানো শুরু হয়েছে। উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের বাদাম চাষী আবুল হাশেম বলেন এ বছর আবহাওয়া বাদাম চাষের অত্যন্ত অনুকূলে ছিল। তাছাড়া এলাকার বাদাম চাষীরা উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে বাদাম ক্ষেতে সঠিক সময়ে সার-বিষ প্রয়োগ করেন। ফলে উপজেলার সর্বত্র বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ফকিৎপুর গ্রামের বাদাম চাষী কোরবান আলী বলেন এ বছর প্রতিবিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকা। আর প্রতিবিঘা জমিতে বাদাম উৎপাদন হয়েছে ৭থেকে ৮মণ। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৪হাজার থেকে ৫হাজার টাকা দরে। এ হিসাবে প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদিত বাদামের মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা যা, উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে বাদাম চাষীরা বর্তমান এ বাজারে অত্যন্ত খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলাম বলেন বর্তমানে হাট-বাজারে বাদামের বাজার বেশ ভাল। আগামী ১/২মাস পর বাজার আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।