লালমনিরহাটের কয়েকদিনের টানা তাপদাহ ও তীব্র গরমের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র গরমে মেলেছে স্বস্তি। কয়েকদিন ধরে এই জেলায় তীব্র তাপদাহ বয়ে চলেছে।
শুক্রবার (৯ জুন) সকাল থেকে লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় শুরু হয় ঝড় ও বৃষ্টি। এতে জনজীবনে স্বস্তির দেখা মিলেছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, শুক্রবার সকাল ৯ টায় কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪৯ মিনিট বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড গরম আর রোদের ১০ দিন পর বৃষ্টি নামলো। এই বৃষ্টিতে অনেক মানুষ উপকৃত হলো।
হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষক বাবর মিয়া বলেন, আমন ধান লাগানোর জন্য ধানের বীজতলা করেছি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধান গজায়নি। কিছুকিছু গজালেও রোজার তাপে মরে যাচ্ছে। এখন বৃষ্টি হলো হয়তো বীজতলা একটু ভালো হতে পারে।
কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বাসিন্দা রাহিবুল ইসলাম টিটুল বলেন, দশ-বারো দিনের রোদের তীব্রতা আর ভ্যাপসা গরম এদিকে লোডশেডিংয়ে জীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছিল। আজ একটু বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে এলো।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, এ যেন নদীতে ডুবে যাওয়ার আগে বেঁচে থাকার জন্য পাওয়া এক টুকরো গাছের ডাল। গত কয়েকদিনে যেভাবে তাপ ছড়াচ্ছিল তাতে করে মানুষের বেঁচে থাকাটাই যেন অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আজ এই স্বস্তির বৃষ্টি সকলের মধ্যে প্রানের সঞ্চার এনে দিল।