দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে অবৈধ মোটরসাইকেলসহ ইট, বালু, সিমেন্ট পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পরিবহন নসিমন, করিমন এবং ছোট ছোট পিকআপ। এলাকার বেশ কিছু ইট, বালু ব্যবসায়ীরা, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে নির্মাণ স্থানে যে পরিবহন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই ব্যবসায়ী মালিকেরা নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় ভাবে এই পরিবহন তৈরি করে সেলো মেসিনের ইঞ্জিন লাগিয়ে মিনি ট্রাক, নসিমন, করিমন, ভটভটি বিভিন্ন নামে সড়কে পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে। গাড়ির বৈধ কোনো অনুমোদন নেই। পাশাপাশি এ সকল পরিবহনের চালকের আসনে যে সকল ড্রাইভার তাদেরও কোন প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এমনকি আতাই নদীর পাড় কেটে নদীর ¯্রােত ও জোয়ার-ভাটাকে কাজে লাগিয়ে চর কেটে মাটি সংগ্রহ করে দিঘলিয়া ও তেরোখাদা পাড়ে বছরের পর বছর যারা ইটের ভাটার ব্যবসা চালাচ্ছে ও পরিবেশের ক্ষতি করছে তাদেরও কোনো বৈধতা নেই। স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাথে গোপন আঁতাত করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে পলি কেটে তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা চালিয়ে আসছে। খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ ইটের ভাঁটা উচ্ছেদ হলেও আতাই নদীর দুই পাড়ের ইট ভাঁটা মালিকেরা আছেন বহাল তবিয়তে। ফলে দিঘলিয়ার সাধারণ মানুষ একদিকে যেমন নদী ভাঙ্গন ও পরিবেশের মারাতœক বিপর্যয়ের আাশংকা করছে অপরদিকে এদের লালিত নানা প্রকার অবৈধ ও বেপরোয়া পরিবহনের চাপে সড়ক পথে স্কুলগামী ছেলে-মেয়ে ও স্বজনদের নিয়ে আতঙ্কে থাকছে। পরিবহনের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে যে এ সকল গাড়ির চালক (ড্রাইভার) অদক্ষ, অপ্রাপ্তবয়স্ক। কোন প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই পরিবহন চালাচ্ছে দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে।
ভারী পরিবহনের কারণে সড়কের বেহাল অবস্থা, ভেঙ্গে চুরে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, গত কয়েক দিন আগে দিঘলিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার কাছে তিন রাস্তার মোড়ে চালকের অদক্ষতার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপরে পড়ে ছিল একটি মিনি ট্রাক। এরূপ এক ড্রাইভারের কারণেই ফরমাইশখানা গ্রামের ইকরাম মোড়ল এখন পঙ্গু।
বর্তমান সময়ে এক শ্রেণির ঠিকাদার নড়াইল-কালিয়া থেকে মিনি ট্রাকে করে প্রচুর পরিমাণে ইট বোঝাই করে অড়ুয়া ফেরিঘাট দিয়ে দিঘলিয়া উপজেলায় আমদানি করছে। এ সকল পরিবহনেরও কোনো অনুমোদন নেই, গাড়ির চালকেরও কোন প্রশিক্ষণ বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এ সকল গাড়ি এত দ্রুত গতিবেগে চালাই যে অন্যান্য গাড়ির চালক বা সাধারণ মানুষ থাকে সর্বদা আতঙ্কে। তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানসহ জান-মলের বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি কখন ঘটে বড় ধরণের দুর্ঘটনা এই আতঙ্কে কাটে তাদের দিন। এ ব্যাপারী আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এ কনপদের শান্তিপ্রিয় মানুষ সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।