খুলনার পাইকগাছায় লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডিসি নিকট মহিলা ইউপি সদস্য অরুনা বেগমের অভিযোগে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গত ৪ জুন লস্কর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য অরুনা বেগম খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন ওয়ার্ড সদস্যদের মূল্যায়ন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। পরিষদের নির্ধারিত বাজেটের চিঠিপত্র দেখায় না, মাসিক মিটিং না করে সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নেয়। এমনকি চেয়ারম্যান তার পছন্দের লোক দিয়ে আমার নামের বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডগুলো টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করেছেন। এ ছাড়া তার ভাগের বরাদ্দের টাকায় চেয়ারম্যান লস্করের পূজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ঘন্টা দান করে তার নিজের নামে প্রচার করেছেন। যার তথ্য প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। প্রতিকার পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। এদিকে ডিসি'র কাছে অভিযোগের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন প্রতিবাদ সভা ডেকে মহিলা ইউপি সদস্য অরুনা বেগমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। ৭ জুন বুধবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত অন্যান্য ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান তুহিন অভিযোগ করেন মহিলা ইউপি সদস্য অরুনা বেগম একজন মামলাবাজ মহিলা। সে শুধু বিভিন্ন দপ্তরে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হয়রানী করেন। এমনকি ওয়ার্ডে কার্ড দেয়ার নাম করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার্ড দিতে পারেনি এর প্রমাণও আছে। এ ছাড়া সে পরিষদেও ঠিকমত আসেনা। তাই আমিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।