জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় ধান ক্ষেতের খোলা মাঠে একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল ইসলাম (৬০) নামে এক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি মাঠে ভেড়া চড়াতে গিয়ে এই মরদেহ দেখতে পায়। নিহত সিরাজুল ইসলাম কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদেও দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কাথাইল-পাকুরিয়া সিরাজুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলামের দুই স্ত্রী তবে, তার কোন সন্তান নেই। নিজ ভিটায় ২য় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন সিরাজুল। গত কয়েক দিন আগে থেকে মাদ্রাসা ও এতিম খানার হিসাব নিকাশ চাওয়াকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য বাকী, মতিন ও আরাবুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহ আগে সিরাজুলকে ওই প্রতিষ্ঠানে সকলের সামনে মারপিট করেন বাকী। রোববার সকালে সিরাজুল ইসলামের মরদেহ পাকুরিয়া কাথাইল ধান ক্ষেতের খোলা মাঠে পাওয়া যায়। পরে ঘটনাটি থানায় জানানো হলে সেখান থেকে কালাই থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেন।
নিহত সিরাজুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক কষ্ট করে আমার বড় ভাই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই মাদ্রাসার হিসাব নিকাশ এখন মাঝে-মধ্যে চাইতে গেলেই তারা তেরে আসেন। ওই বাকীসহ আরো কয়েকজন আমার বড় ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চাই।
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে বলেও জানান কালাই থানার ওসি।