চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছোট সৎ বোনের স্বামীকে হত্যার চেস্টা করেছে ভাইয়েরা। এমনকি যৌনাঙ্গ কেটে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে এনায়েতুল গনি সুমন নামে এক যুবককে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কালাবাদশা পাড়ায়। আহত সুমন স্হানীয় আলহাজ্ব শফিউল আলম মাস্টারের ২য় স্ত্রীর সন্তান। পূর্ব শক্রতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটে। আহত সুমন বর্তমান চমেক হাসপাতালের ৮৯ ওয়ার্ডের ৫৩ নং সীটে চিকিৎসাধীর রয়েছে। তার অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে আতের বড় ভাই আতাউল গনি রিটন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আহতের বড় ভাই রিটন জানান, তার ভাই তাদের পার্শ্ববতী মৃত লতু মিয়া মিস্ত্রির ২য় স্ত্রীর মেয়ে আজমা আকতার কে ৮/১০ বছর পূর্বে ভালবেসে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক বছর শ্বশুর বাড়ির সাথে তার (সুমনের) মোটামুটি ভালই ছিল। গত কয়েক বছর থেকে তার স্ত্রীর সৎ ভাইদের সাথে নানা কারণে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। ২০২১ সালে ১৭ডিসেন্বর রাতে দুর্বৃত্তের হামলায় মোমেন এলাহী কালু এবং হোসেন এলাহী বাচা নামে দুই ভাই আহত হয়। বাচা এই দিন দিবাগত রাতে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এই হামলার ঘটনার সাথে সুমন জড়িত ছিল সন্দেহে ১৮ ডিসেম্বর মোহছেন এলাহী কালু বাদী হয়ে ১৪ জনের নামোল্লেখ ও আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞতনামা ব্যাক্তিকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় সুমনকে ৩ নং আসামি করা হয়। এই মামলায় সুমন ্র্যাব হাতে ফেনী থেকে গ্রেপ্তার হলে বিগত ৮ মাস পূর্বে সে জামিনে মুক্তি পায়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে। গতরোববার সে তার অসুস্থ মাকে দেখতে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে বাজারে যাওয়ার সময় তাকে (সুমন) তারস্ত্রীর সৎভাইয়েরা কোপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। আহতের বড় ভাই রিটন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে তাকে ৮৯ নং ওয়ার্ডের ৫৩ নং সীটে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তার অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ গণমাধ্যমকে জানান, মো. সুমন নামে একজনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তার পুরুষাঙ্গে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই রিটন বাদী হয়ে ওই দিন রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। এতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃকরা হলেন আবদুল সালাম মাষ্টার (৪৫), পিতা-মৃত ডাঃ সামশুল আলম, মোঃ ইকবাল (৩৪) পিতা-মৃত লতু মিস্ত্রী, শিবলী আকতার (৩২), স্বামী-মোমেন এলাহী প্রঃ কালু, সর্বসাং-মির্জাপুর (কালা বাদশা পাড়া), ৫ নং ওয়ার্ড, ৩নং মির্জাপুর ইউপি, থানা-হাটহাজারীকে প্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকুতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।