মাদকসহ নানা অপরাধের ষ্টিয়ারিং বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতাদের নিয়ন্ত্রনে। গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নটি নানাভাবেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনাচারে সমৃদ্ধ। সেই কারণে মাদক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধীরা তাদের নিরাপদ আদর্শ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে ইউনিয়নটিকে। উপজেলার শীর্ষস্থানীয় মাদকের অভয়ারণ্যে পরিনত একটি ইউনিয়ন। হাত বাড়ালেই মিলছে এখানে নানা জাতের মরন নেশা মাদক।
সরেজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সুশীল সমাজের মানুষদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বালিয়াদিঘী ইউনিয়নে যেখানে যেখানে মাদক সেবন ও মাদক ব্যাবসা চলে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাকা হল কালাই হাঁটা, কলেজ পাড়া, তল্লাতল্লা, কলাকোপা, মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের কিছু অংশ, কুঠামহিন এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা হল তরনীহাটের আশেপাশ কিছু এলাকা। ইউনিয়নের মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার সময় তারা তাদের বিদ্যালয় ও কলেজের আশাপাশের মাদক সংকটময় পরিবেশের কারণে নিজেদের চরম ভয় ও আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন।
সেইসব শিক্ষার্থীরা জানান, মাদক হাতের কাছে ও সহজলভ্য হওয়াতে আমাদের অনেক বন্ধুরা বিপথগামী হয়ে মাদকের দিকে ঝুঁকছে যাদের মধ্যে অনেকেই অনেক ব্রিলিয়ান্ট শিক্ষার্থী। যে কোন ভাবেই বালিয়াদীঘি ইউনিয়ন থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের উৎখাত না করা গেলে ইউনিয়ন টা মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের রাজত্ব হবে এবং মেধাশূন্য হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, মাদকের সঙ্গে পুলিশের কোন আপোশ নেই। আমরা বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি এবং গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হচ্ছি। নানা সীমাবদ্ধতা থাকায় মাদকের আগ্রাসন একার পক্ষে নির্মূল করা সম্ভব নয়। মাদক নির্মূল করতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক ব্যবসায়ী অনেক গডফাদার দের আমরা চিহ্নিত করতে পারলেও তাদের সঙ্গে মাদক না থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারছি না।
তিনি আরো জানান, আমরা গাবতলী মডেল থানা পুলিশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যেকোনো ধরনের মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার।