কটিয়াদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে চক্রের কতক সদস্য। এদের একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটা থেকে তিনটার সময় উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে।
জানা যায়, চারিয়া গ্রামের বন্দের বাড়ি নামে পরিচিত শহীদুল্লার বাড়ি থেকে গরু চোর চক্রের কতক সদস্য গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গৃহকর্তার ঘুম ভেঙে যায়। তৎক্ষনাৎ তিনি গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন সেখানে তার গরুটি নেই। তিনি গরু খোঁজা খুঁজি এবং চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে আশপাশের বাড়ির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বেড়িয়ে আসে এবং গরু খোঁজতে থাকেন। বাড়ি থেকে সামান্য দূরে এলাকায় গরুচোর হিসাবে পরিচিত জসিমকে (৩০) হেটে যেতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে গণধোলাই খেয়ে স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তিতে পাট খেতের ভিতর থেকে গরুসহ সঙ্গীয় আরো দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে সকালে ভাট্টা ফাঁড়ির পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এদের মধ্যে একজন মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমানের পুত্র কাসেম (২২), অন্যজন আচমিতা ইউনিয়নের গাংকুল পাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে বিজয় (১৯)। গণধোলাইয়ের শিকার জসিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি জানান, এ গ্রাম থেকে গত দুই মাসে অন্তত ২০টি গরু চুরি হয়েছে। রাতে আটকৃতদের উপর সমস্ত ক্ষোভ ঝারে এলাকাবাসী। তাদেরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আলী আকবর জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকাবাসী চোরদেরকে ধরে গণধোলায় দিয়ে আটকিয়ে রাখে। ভাট্টা ফাঁড়ির পুলিশের উপস্থিতিতে চোরদেরকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভাট্টা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউল জানান, গরুচোর আটক বা গণধোলাইয়ের শিকারের কোন ঘটনা বা এ-সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান ছিদ্দিকিও এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান।