খুলনার পাইকগাছায় রাড়-লী ভূবনমোহিনী বালিকা মাধ্যমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস সহ ৪ জনের নামে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাড়-লী ভূবনমোহিনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার ঘোষ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস, আমান সরদার, বিমল পাল, ও জালাল জোয়াদ্দের নামে মামলা করেছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত মন্ডল বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলা গ্রহণপূর্বক বিষয়টি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, ভূবনমোহিনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার ঘোষকে বিদ্যালয়ের সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস শিক্ষক-কর্মচারী পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সভা আহ্বান করতে বলে আসছেন। কিন্তু দেওয়ানী আদালতে কমিটি সংক্রান্তে মামলা চলমান থাকায় তিনি সভা আহ্বান করতে অসম্মতি জানিয়ে আসছেন। একারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫ জুন সোমবার বেলা সড়ে ১১ টার দিকে সভাপতি কয়েকজন যুবককে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। একইভাবে সভা আহ্বানের কথা বললে প্রধান শিক্ষক বলেন ইউএনও ও শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত জানাবো। এই কথা বলার পর তিনি বলেন আমি সভাপতি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ করতে হবে, না হলে চাকুরী ছেড়ে দে। এ সময় রেজুলেশন খাতা ও নোটিশ বই চাইলে তা না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক গৌতমকে কান দরে চেয়ার থেকে উঠিয়ে গলা ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়। শারীরিকভাবে লাঞ্চিত, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কেড়ে নেয় তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও টাকাসহ একটি ব্যাগ। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার ঘোষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিদ্যালয় পরিদর্শক যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষাবোর্ড, চেয়ারম্যান যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষাবোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ ও থানায় জিডি করেছেন। এ ছাড়া পাইকগাছা উপজেলা শিক্ষক সমিতি এ ঘটনায় আরশাদ আলী বিশ্বাসকে রাড়-লী ভূবনমোহিনী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ বাতিল করে তাকে দৃৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করে বিক্ষোভমিছিল, মাববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।