বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চরদুয়ানী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জুয়েল, যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া পিয়ার, পৌর সভাপতি গোলাম মোস্তফা, পৌর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন সোহাগ, কালমেঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান সহ আরও অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন দাদু বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার হিরু বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচন করেছেন। একবার আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হয়ে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে বিভিন্ন রকম কটূক্তি করেছেন এবং পরিধেয় মুজিবকোট ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। বর্তমানে নতুন করে বলে বেড়াচ্ছেন যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁকে ডেকে নিয়ে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মাঠে কাজ করতে বলেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
একের পর এক রাজনৈতিক দল পরিবর্তন ও বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আলোচনায় আসা বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার হিরুর ওপর উপজেলা নেতৃবৃন্দ বিব্রত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে হিরু বলে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমীর হোসেন আমু ২০০৮ সালে তাঁর প্রার্থীতা কেড়ে নিয়ে গোলাম সবুর টুলু ভাইকে নমিনেশন দিয়েছেন। গোলাম সরোয়ার হিরুআরও বলেছেন, ২০১৩ সালের উপনির্বাচনসহ বর্তমান সরকারের মেয়াদে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, তাতে জনতার ভোট লাগে নাই। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোট কেটে নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয়ভাবে সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লুটপাট করেছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘জননেত্রীকে এবং আওয়ামীলীগকে কটাক্ষ করে কীভাবে তিনি দলীয় নমিনেশন চান বা আশা করেন। তিনি একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। তাঁকে নমিনেশন দিলে দলের ক্ষতি হবে।’
লিখিত বক্তব্যে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি একটি ফেসবুক পেজে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি বলেছেন, পাথরঘাটার সকল উন্নয়ন উনিই সব করেছেন। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই ১৭টি বছর উনি কোথায় ছিলেন।নির্বাচনী এলাকায় একটি বারের জন্যও আসেননি। সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গোলাম সরোয়ার হিরু ইসলামি ঐক্যজোট, ইসলামি আন্দোলন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিও করেছেন বহুদিন। ইউপি চেয়াম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। সেখানে অনাস্থা পেয়ে মিনার প্রতীকে সংসদ নির্বাচন করে ১৯৯৬ সালে বরগুনা-২ আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে নৌকার মনোনয়নও দেওয়া হয়েছিল, একের পর এক দলবদল করা গোলাম সরোয়ার হিরু সদ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। এরপর থেকে এলাকায় সাবেক সাংসদ হিরুকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু হয়েছে।