প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সহকর্মী মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার।
বক্তারা বলেন, গৌরনদীর সরিকল গ্রামের প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা নান্নু কাজীকে গত ১৫ জুন দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বসে শারিরিক লাঞ্ছিত করে অপর মুক্তিযোদ্ধা মেজবা উদ্দিন আকন। প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সরদার মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা চক্রবর্তী নিতাই লাল, মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন খন্দকার, মুক্তিযোদ্ধা ইয়ার উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম রাজা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের জেলা শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক উৎপল চক্রবর্তী, যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুর রহিম, নয়ন হাওলাদার প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, সরিকল গ্রামের মৃত আমজেদ আলীর ছেলে ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর ওই নামেরস্থানে পাশ্ববর্তী মুলাদী উপজেলার মধ্য গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামকে ভাতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন হোসনাবাদ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মেজবা উদ্দিন আকন। সে (মেজবা) নিজেকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দাবি করে দীর্ঘদিন থেকে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। গত ১৫ জুন দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে বসে মেজবা উদ্দিন আকনের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা নান্নু কাজী। এতে সে (মেজবা) ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা নান্না কাজী বলেন, যুদ্ধের সময় অনেক ছোট ছিলো মেজবা উদ্দিন আকন। সে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্মারকলিপি গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, মুলাদী উপজেলার বাসিন্দার গৌরনদী উপজেলায় এসে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তোলার কোন সুযোগ নেই। ওই নুরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা হলে মুলাদী উপজেলায় গিয়ে তার ভাতা তুলতে হবে। গৌরনদীতে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।