কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বান্নঘর গ্রামের ভূমিহীন হতদরিদ্র নূরুল হকের পুত্র আবদুল কাদিরের সাথে একই গ্রামের মোবারকের পুত্র মামুনুর রশিদ ও সুলতান আহম্মেদ পুত্র ই¯্রাফিল সম্পত্তি বিক্রির নামে প্রতারণা করে প্রায় ৮লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আবদুল কাদিরের মেয়ে জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে আদালতে ৩টি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বান্নঘর গ্রামের ভূমিহীন হতদরিদ্র আবদুল কাদির বান্নাঘর গ্রামের পাশে বাংলাদেশ রেলওয়ের কিছু পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে বাড়িঘর নিমার্ণ করে র্দীঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। আবদুল কাদিরের কোন পুত্র সন্তান নেই, ৪ জন মেয়ে গার্মেন্টস এ চাকুরী করে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। ৪ মেয়ে দীর্ঘদিন গার্মেন্টস চাকুরী করে প্রায় ৮লাখ যোগাড় করে বান্নাঘর গ্রামে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাশে ১০ শতক সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একই গ্রামের মোবারকের পুত্র মামুনুর রশিদ ও সুলতান আহম্মেদের পুত্র ই¯্রাফিল কাছে বায়না পত্র করেন। প্রথমে জমির ক্রয়ের বায়না পত্রের জন্য মামুনুর রশিদকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। মামুন একটি বায়না পত্র দলিল আবদুল কাদিরের বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারের নামে সম্পাদনের জন্য লিখে দেন। এরপর জমিন রেজিষ্ট্রি করবে বলে ২০২১ সালে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করেন এবং সম্পত্তিটি সার্ভেয়ার দিয়ে বুঝিয়ে দেন। এরই মাঝে মামুন তার মৎস প্রজেক্টের খাদ্য ক্রয় করার জন্য জেসমিন আক্তার থেকে ৩ লক্ষ টাকা হাওলাত নেন। হাওলাতের প্রমাণ স্বরুপ জেসমিন আক্তারকে মামুনুর রশিদ নাঙ্গলকোট এনসিসি ব্যাংকের ৩ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। কিছুদিন পর জেসমিন তার হাওলাত টাকা চাইলে মামুন তাকে হয়রানি করে। পরে জেসমিন বাধ্য হয়ে আদলতে ৩ লক্ষ টাকার চেকের মামলা দায়ের করে।
এছাড়া জমিন রেজিষ্ট্রি না দেয়ায় জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে মামুন ও ই¯্রাফিলের বিরুদ্ধে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। জেসমিন আক্তারের ক্রয়কৃত সম্পত্তির গাছ কেটে ফেলায় পরিবারের লোকজন বাধা প্রদান করলে মামুন ও তার লোকজন আবদুর কাদিরের পরিবারের লোকজনদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলেন আবদুল কাদির, জেসমিন আক্তার, মাসুকা আক্তার আহত হয়।
কিছুদিন পর মামুনুর রশিদ গভীর রাতে ওই জমিটি ভেকু মেশিন দিয়ে গভীর করার চেষ্টা করলে তখন আবদুল কাদির বাধা প্রদান করলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে জাতীয় জরুরী সেবায় ৯৯৯ ফোন করলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। পরে ওই জমির পাশের তার নিজের সম্পত্তি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। এ নিয়ে জেসমিন আক্তার আদালতে ৩ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করে। মামুনুর রশিদ একটি মামলায় জামিন পেয়ে আবদুল কাদিরের বাড়ী ঘরে হামলা করার চেষ্টা করে এবং পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী আবদুল কাদির ও তার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।