আশাশুনিতে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পইন ২০২৩ (২য় রাউন্ড) অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৮ জুন) উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ কার্যক্রম দেখতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৩৩টি অস্থায়ী কেন্দ্রে এবং আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি স্থায়ী কেন্দ্রে ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে ছিলেন ৫৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৩৩ জন ১ম সহকারী সুপার ভাইজার। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলেন একজন মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম। প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করেন। একজন মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী ও ৪০ জন পরিবার পরিকল্পনা কর্মীকে নিয়ে এটিম গঠিত। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু ৩৩০০ জন ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২৬০০০ শিশু। যার মধ্যে ৬০-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন এ+ খাওয়ানো সম্ভব হয়েছে। ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশু ২৬ হাজারের মধ্যে ২৫ হাজার ৮৯০ জনকে এর আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাদ পড়াদের সার্চিং কার্যক্রম শুরু হবে সোমবার (১৯ জুন) থেকে। বাদ পড়াদের ভিটামিন এ+ খাওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফল করতে ও কার্যক্রম দেখতে সকাল থেকে বিভিন্ন ক্যাম্প/ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ্যাসিস্ট্যান্ড সেক্রেটারী মোঃ ইকবাল হোসেন, এ্যাসিস্ট্যান্ড সেক্রেটারী কামাল হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম, আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএফপিও ডাঃ মিজানুল হক, সিনিঃ স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা (সিএস অফিস) পুলক চক্রবর্ত্তী, আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডাঃ আবদুর রহমান, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর রথীন্দ্র নাথ দে বুধহাটা, কুল্যা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।