মেইতেইদের একাংশ রাস্তা অবরোধ করেছে বলে অভিযোগ আসে। ফলে সমতল থেকে আসাম রাইফেলের জওয়ানদের কাছে খাবার পৌঁছাচ্ছে না। গত ১৮ দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় সব মিলিয়ে সাত ব্যাটেলিয়ন আসাম রাইফেলসের সেনা জওয়ান পাঠানো হয়েছে। বস্তুত, আসাম রাইফেলস বেশ কিছু এলাকায় ঢুকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং তাদের হত্যাও করেছে। সূত্র জানাচ্ছে, পাহাড়ে বসে থাকা এহেন আসাম রাইফলেসের জওয়ানদের কাছে নিচ থেকে রসদ পৌঁছাচ্ছে না। কারণ, মেইতেইরা রাস্তা অবরোধ করেছে। আসাম রাইফেলসের কাছে যাতে রসদ না পৌঁছায়, তার ব্যবস্থা করেছে। যদিও এ বিষয়ে সেনা অথবা মণিপুর সরকারের তরফে কোনো বিবৃতি জারি বা মন্তব্য করা হয়নি। স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, মেইতেইদের প্রকাশ্য অভিযোগ, আসাম রাইফেলস কুকিদের পক্ষ নিয়েছে। তারা মেইতেইদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। কুকিরা পাহাড়ে বেআইনি আফিমের চাষ করছে বলেও তাদের দাবি। আসাম রাইফেলস তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখানেই শেষ নয়, মেইতেইদের অভিযোগ, মিয়ানমার থেকে চীন জনজাতির মানুষ কুকিদের সাহায্যে মণিপুরে প্রবেশ করে বেআইনিভাবে থাকছে। আসাম রাইফেলস তাদেরকেও ভারতে ঢুকতে সাহায্য করছে।মিয়ানমার থেকে আসা এই ব্যক্তিরা কুকিদের সশস্ত্র গোষ্টীগুলির সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। মণিপুর সরকার এবং সেনা বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বস্তুত, সপ্তাহখানেক আগে সেনা জানিয়েছিল, তারা বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই হয়েছে। বেশ কিছু সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে। যাদের মৃত্যু হয়েছিল, তারা কুকি জনজাতির অংশ। ফলে মেইতেইদের অভিযোগ ধোপে টেকে না বলে দাবি স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের। তবে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মিয়ানমার থেকে মণিপুর এবং মিজোরামে বহু শরণার্থী প্রবেশ করেছে। পাহাড়ি জনজাতির সঙ্গে তাদের মিয়ানমারের ওই জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ বহুদিনের। মণিপুর এবং মিজোরামের সীমান্তে আসাম রাইফেলসের জওয়ানেরা প্রহরায় থাকেন। তাদের সামনে দিয়েই মিয়ানমারের শরণার্থীরা ভারতে আসছেন। ফলে অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা ভুল নয়।