সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮টি ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৫৮টি কেন্দ্র সাধারণ (ঝুঁকিমুক্ত) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুত করা তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে। রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার মো. ইলিয়াস শরীফ। তিনি বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করতে ভোটের দিন এসএমপির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন শুধু পুলিশই থাকবে ২ হাজার ৬ শতাধিক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশের সহায়তায় র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ভোটের মূল নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ থাকবে জানিয়ে এসএমপি কমিশনার বলেন, অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে দুজন কর্মকর্তা ও চারজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে একজন কর্মকর্তা ও চারজন কনস্টেবল ও সাধারণ কেন্দ্রে গুলোর প্রতিটিতে একজন কর্মকর্তা ও তিনজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ (বুথ) আছে ১ হাজার ৩৬৪টি। মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ওই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কমবেশি নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন কমিশন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কেন্দ্রে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকা, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা, যোগাযোগ বিড়ম্বিত কেন্দ্র, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কাসহ নানা দিক বিবেচনা করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এবারের তালিকা অনুযায়ী ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্র ঝুঁকিমুক্ত। অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের স্বার্থে কেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবে। র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি আফসান-আল-আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে। এরইমধ্যে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা কাজ করছে। নির্বাচনের দিন র্যাব সদস্যরা স্ট্রাকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দলও মাঠে থাকবে।