নওগাঁর রাণীনগরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ‘রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ‘ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাকা অংশ ঘেঁষে অপরিকল্পীত ও নিয়ম বহির্ভুতভাবে তালগাছ রোপনের অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। এতে ভবিষ্যতে একদিকে যেমন গাছের ডালপালা বিস্তারে সড়ক সংকুচিত হয়ে দূর্ঘটনার বড় ধরনের আশঙ্কা করা হচ্ছে,অন্যদিকে সড়ক প্রসস্তকরণে চরম বাধার সম্মখিন হতে হবে। এ ছাড়া গাছ কেটে সড়ক প্রসস্ত করলে সরকারের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে। এক্ষেত্রে সড়ক জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন,আমাদেরকে না জানিয়েই গাছ রোপন করেছে কৃষি অধিদপ্তর। ফলে অপরিকল্পীতভাবে রোপন করা গাছ অপসারন করে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে,আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুই ধারে তালগাছ রোপন করা হয়। রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত ১১জুন আনুষ্ঠানিকভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাণীনগর-আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালগ্রিাম ডাকাহার নলপুকুরের মোড়ের অদুর থেকে সড়কের দুই ধারে চারশত পিস তালগাছ রোপনের উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয়রা জানান,গাছগুলো সম্পন্ন অপরিকল্পীতভাবে রোপন করা হয়েছে। কোথাও সড়কের পাকা অংশ থেকে দেড় ফিট আবার কোথাও দুই/তিন ফিট দুরত্বে গাছগুলো রাপন করা হয়েছে। এতে গাছগুলো ধীরে ধীরে যত বড় হবে গাছের ডালগুলোও তত দ্রুত সড়কের পাকা অংশের মধ্যে ছড়িয়ে পরবে। এতে পাকা সড়ক সংকুচিত হয়ে চলাচলে চরম বাধার সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কটি কখনো প্রসস্ত করার প্রয়োজন দেখা দিলে গাছ কেটে প্রসস্ত করতে হবে। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য চরমভাবে ভেস্তে যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
পথচারী আমিনুল ইসলাম বলেন,তালগাছের প্রতিনিটি ডাল কমপক্ষে ৮/১০ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছ যখন বড় হবে তখন সড়কের দুই পাশের গাছের ডালগুলো ছড়িয়ে পরলে পাকা সড়ক একদম সরু হয়ে যাবে। ফলে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে পারবেনা।এতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আরেক পথচারী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,গাছগুলো দায়সারাভাবে রোপন করা হয়েছে। তাছাড়া এভাবে কখনো পাকা অংশ ঘেষে গাছ রোপন করেনা। এই গাছে একদিকে যেমন রাস্তা সংকুচিত করবে,অন্যদিকে গাছের শিকড়ে পাকা অংশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে। তাই দ্রুত গাছগুলো তুলে নিয়ে পাকা অংশ থেকে দুরত্ব বজায় রেখে পূনরায় রোপনের দাবি জানান তিনি।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা নাজনীন বলেন,সড়কে গাছগুলো লেবার দিয়ে লাগানো হয়েছে। এক্ষেত্রে হয়তো এরকম হয়েছে। তবে গাছ লাগানোর বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলা হয়নি বলে জানান তিনি।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরে আলম বলেন,পাকা সড়ক ঘেঁষে গাছ লাগালে সড়কের চরম ক্ষতি হয়। গাছ লাগালে নিয়ম মেনেই গাছ লাগাতে হবে। তাছাড়া সড়কে গাছ লাগাতে হলে অবশ্যই আবেদন দিলে তা অনুমোদনক্রমে গাছ লাগাতে হবে, কিন্তু আমাদের সড়কে গাছ লাগানোর বিষয়ে রাণীনগর কৃষি অধিদপ্তর কোন অনুমতি নেয়নি। অপরিকল্পীতভাবে লাগানো গাছ অপসারণ করতে কৃষি অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হবে। তার পরেও গাছ অপসারন না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।