পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গোপন সালিশ বৈঠকে বখাটেকে জুতাপেটা করে এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুক্রবার সকালে এলাকায় ছড়িয়ে পরলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শ্লীলতাহানীর ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী উপজেলার পূর্ব মাহিলাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
একই গ্রামের ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের পানির পাম্প নষ্ট হওয়ায় গত ১৯ জুন স্থানীয় স্যানিটারী মিস্ত্রি একই গ্রামের খোকনকে পাম্প ঠিক করার কাজ দেওয়া হয়। ওইদিন দুপুরে স্কুলে পাম্প ঠিক করতে এসে পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায় খোকন। এ সময় ছাত্রীর ডাক-চিৎকারে সহপাঠী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে স্যানিটারী মিস্ত্রিী খোকন পালিয়ে যায়।
স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই বিষয়টিকে ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় একটি প্রভাবশালী মহল। তারই অংশ হিসেবে গত বুধবার রাতে অতিগোপনে সালিশ বৈঠক ডেকে বখাটেকে একশ’ জুতাপেটা করে এলাকা থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার রায় ঘোষনা করেন কতিপয় সালিশরা। তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ভুক্তভোগি ছাত্রীর পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সালিসের নামে প্রহসন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খোকন শ্লীলতাহানীর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সালিসে জুতাপেটার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাই ঘটেছে সব সমাধান হয়ে গেছে।
সালিশকারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. বাদল হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু তারা অভিযোগ না দিয়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধান করে দিতে বলেন। যেকারণে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে স্থানীয় গণ্যমান্যদের নিয়ে সালিশ বৈঠক করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম বলেন, বিষয়টি আমাকে বিদ্যালয় থেকে জানানো হয়নি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।