সারাদেশে পুকুর ও জলাশয় ভরাটে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাতের আঁধারে বালু ও মাটি ফেলে নগরীর ঐতিহ্যবাহী জগদ্বীশ সারস্বত স্কুল এ- কলেজের শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ট্রাক দিয়ে মাটি এনে নগরীর কলিবাড়ী রোড এলাকায় জগদ্বীশ সারস্বত স্কুল এ- কলেজের শতবর্ষী পুকুর ভরাট করছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক কাওসার হোসেন। খরব পেয়ে পুকুরটি রক্ষায় একত্র হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধা প্রদান করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক ও কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই আবদুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
সূত্রমতে, আকস্মিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজে বাঁধা প্রদান করেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম। তিনি বিভিন্ন হুমকি দিয়ে কথা বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মী গোলাম রাব্বি ভিডিও চিত্র ধারন করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সংবাদ কর্মীর ওপর ওপর যুবলীগ নেতা হামলা চালায়। পাশাপাশি অপর একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাম্যানের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এসময় সাংবাদিকদের তোপের মুখে যুবলীগের আহ্বায়ক পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশে থানা পুলিশ ট্রাক চালক ও শিক্ষক কাওসার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সাথে ট্রাকটিও জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক কাওসার হোসেন বলেন, এই পুকুরে অনেক শিক্ষার্থী পরে দূর্ঘটনা ঘটেছে তাই ভরাট করেছি। তিনি আরও বলেন, যুবলীগের আহ্বায়ক নিজাম ভাইকে আমি ফোন করে ডেকেছি। তবে আমি তাকে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালাতে বলিনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, স্কুলের শিক্ষক কাওসার হোসেনকে গত ২০ জুন পুকুর ভরাট না করার জন্য বলা হয়েছিলো। কিন্তু সে আইনকে অমান্য করে রাতের আঁধারে পুকুর ভরাট করছিলেন। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে যার সত্যতা মিলেছে। তাই ট্রাকসহ চালক ও ওই শিক্ষককে আটক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে নিজামুল হক নিজামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।