ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে তিনজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় গত শনিবার ভোরে এ হামলা চালানো হয়। বার্তা সংস্থা সিএনএন এর প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেনের অন্তত পাঁচটি অঞ্চলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এতে রাজধানীতে একটি উঁচু ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেখানে তিনজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন।
রুশ সেনাদের সমালোচনা করে টেলিগ্রামে তিনি লিখেন, রাশিয়া যেটি করেছে, সেটি একটি সন্ত্রাসী কৌশল।
ইউক্রেন সেনারা বলছেন, রাশিয়া ৫১ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, যার মধ্যে ৪১টি ধ্বংস করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুটি ড্রোনও ছিল।
একটি পৃথক পোস্টে কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো জানান, ক্ষেপনাস্ত্র হামলা বড় বড় ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শহরের চারপাশে প্রায় ২০ ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। জরুরি পরিষেবার কর্মীদের শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নিতে দেখা যায়। সেখানে ভবনের একপাশে একটি ফাঁকা গর্ত দৃশ্যমান ছিল।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও লোক আটকে থাকতে পারে বলে টেলিগ্রামে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো। এ ছাড়াও দিনিপ্রোপেট্রোভস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে আটজন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। সেখানে হামলায় বেশ কয়েকটি ভবনও ধ্বংস হয়ে গেছে।
গভর্নর সেরহি লাইসাক বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। তবে আঞ্চলিক রাজধানী ডিনিপ্রোর আবাসিক ভবনগুলো এবং একটি অনির্দিষ্ট অবকাঠামোগত বস্তু আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
গভর্নর ওলেহ সিনহুবভ বলেছেন, অন্তত দুটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে একটি শিল্পাঞ্চলে আঘাত হেনেছে এবং অন্যটি একটি গ্যাসলাইনের ক্ষতি করেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি। অন্যান্য শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।