ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সরকারি কলেজের এইচএসসি উত্তীর্ণ এক ছাত্রী ধর্ষণ, অন্তস্বত্তার পর ভ্রুন নষ্ট ও নগ্নছবি ফেসবুকে ভাইরাল (ছবি সংরক্ষিত) মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক হৃদয় বিশ্বাস (২০) গত আড়াই মাসেও গ্রেপ্তার হয় নাই। চরভদ্রাসন থানা মামলা নং-০৫, তাং-১১/৪/২০২৩ খ্রি.। এ মামলার চারজন আসামীর মধ্যে তিনজন জামিনে রয়েছেন। জামিনকৃতরা হলেন-করবী দস্তীদার বিশ্বাস (৫০), সুরঞ্জনা বিশ্বাস (৩০) ও বিমল বিশ্বাস (৩৮)। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক হৃদয় বিশ্বাস গত আড়াই মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি বলে হতাশা ব্যাক্ত করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
রোববার নির্যাতিত ও অসহায় কলেজছাত্রী জানায়, “তার অসহায় পরিবারের দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়। তার পিতা গত চার বছর ধরে ব্রেইন ষ্ট্রোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় শয়্যাশায়ী রয়েছেন। তাই অর্থবিত্তহীন ও তদবিরের অভাবে তার মামলার গতি ঝিমিয়ে পড়েছে। মামলার তিনজন আসামি কিছুদিন আড়ালে থাকার পর এখন জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হওয়াতে ওই কলেজছাত্রী ন্যায় বিচার না পওয়ার শংঙ্কা প্রকাশ করেন”।
অবশ্য, একই দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরভদ্রাসন থানার এসআই মোর্শেদুল আলম জানান, “হৃদয় বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকা ছাড়াও আমরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তার অবস্থান জানার জন্য সর্বদাই চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই”।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের দক্ষিন পাশে পূর্ব বিএস ডাঙ্গী গ্রামে একটি ভাড়া বাড়ীতে কলেজ ছাত্রীর বসবাস। তার পিতা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পিয়ন পদে চাকুরীরত ছিলেন। গত চার বছর ধরে ব্রেইন ষ্ট্রোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় তার পিতা শয্যাশায়ী রয়েছেন। ২০২১ সালের ৩ অক্টোর বিকেলে এক প্রতিবেশীর নির্জন বাড়ীতে কলেজ ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে হৃদয় বিশ্বাস ধর্ষন করার পর তার নগ্নছবি মোবাইলে ধারন করে রাখে। পরবর্তিতে ওই নগ্নছবি ভাইরাল করার হুমকী দিয়ে এবং বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে কলেজ ছাত্রীকে একাধিক দিন ধর্ষন করতে থাকে। এতে কলেজছাত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষকের পরিবার ঘটনাটি জানতে পেরে তারা দুই দফায় ডাক্তারী বড়ি খাইয়ে ছাত্রীকে গর্ভপাত করায়। এরপর থেকে ধর্ষক বা ধর্ষক পরিবার কলেজছাত্রী সাথে আর কোনো যোগাযোগ রাখে নাই বলে অভিযোগ রয়েছে।